চলচ্চিত্র সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হতে পারে
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গণমাধ্যমের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হলো চলচ্চিত্র। এই মাধ্যম জীবনের কথা বলে, মানুষের কথা বলে। চলচ্চিত্র সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হতে পারে। কলকাতার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নন্দনে আজ শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন।
চার দিন চলবে এই চলচ্চিত্র উৎসব। উদ্বোধনের পর দেওয়া বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হতে পারে। এটি জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ার পথ দেখাতে পারে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ এখনো আমাদের দুই দেশকে গ্রাস করে আছে। তাই এর বিরুদ্ধে লড়তে চলচ্চিত্র নতুন পথের সন্ধান দিতে পারে।’
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা আমাদের দুই দেশের অভিন্ন শত্রু। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। তাদের রোখার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে হবে।’
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের ওপর জোর দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্মাণের রাস্তাকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই যৌথ প্রযোজনায় ছবি তৈরি করতে পারব।’
এ উৎসবে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক বাংলাদেশের ২৪টি চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনীও চলবে। উৎসব চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষ অতিথি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমাদের বাংলা ভাষা বিশ্বে এত সমাদৃত হতো না।’ দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের আঁতুড়ঘর কলকাতায় এই চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নতুন করে জেগে উঠেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে নিযুক্ত প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল।