তীব্র শীতে কাতর রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: কয়েক দিন ধরে সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। এর প্রভাবটা বেশি পড়েছে উত্তর, দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের জনজীবন। আজ শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এবারের শীত মৌসুমে এখন পর্যন্ত এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
নতুন বছরের ১ জানুয়ারি রাজশাহীর তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে বিভাগীয় এই শহরের তাপমাত্রা কমেছে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম জানান, আজ সকাল ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে আসে। বেলা তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হঠাৎ শীতের দাপট বাড়ায় কাবু হয়ে পড়েছে রাজশাহীর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তীব্র শীতে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী। শীতজনিত নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, পেটব্যথা, জন্ডিস, সর্দি জ্বরে ভুগছে শিশু ও বৃদ্ধরা। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে ফসলের মাঠেও দেখা দিয়েছে বিপর্যয়ের আশঙ্কা। চলতি রবি মৌসুমে এই অঞ্চলের মাঠে রয়েছে আলু, গম, পান, ডাল, ভুট্টা, সবজি ও বোরোর বীজতলা। বিশেষ করে মাঠে থাকা আলুর ফসলে লেট ব্লাইট (পচন রোগ) ছড়িয়ে পড়েছে। আর বোরো খেতের বীজতলায় দেখা দিয়েছে কোল্ড ইনজুরি।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে লোকজন বের হচ্ছে না। তীব্র শীতের কারণে যাত্রী কম থাকায় যান চলাচলও কমে গেছে। আতিয়ার রহমান নামের একজন বাসচালক বলেন, ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সকাল ও রাতের বেলায় গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে।
শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল ইসলাম বলেন, সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও নামতে পারে। সে কারণে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেবে।