একজন আরেকজনকে অপছন্দ করতেই পারে
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যদি এই সিরিজেও বাংলাদেশ দলের কোচ থাকতেন এনামুল হকের ভাগ্যলিপিতে কী লেখা থাকত কে জানে! ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার। চোটে পড়ায় আবার সেই ম্যাচটাও পুরো খেলতে পারেননি। প্রায় তিন বছর অপাঙ্ক্তেয় থাকার পর আবার বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের দরজাটা খুলেছে এনামুলের সামনে।
এনামুলের ব্যাটিংয়ের ধরন নাকি ভীষণ অপছন্দ ছিল হাথুরুর। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেও ২৫ বছর বয়সী তাই আসতে পারেননি শ্রীলঙ্কান কোচের বিবেচনায়। অবশেষে ঘরোয়া ক্রিকেটের পুরস্কার এনামুল পেয়েছেন। সেটিও আবার হাথুরুর বিদায়ের পরই। বিষয়টা কতটা স্বস্তি দিচ্ছে এনামুলকে? ‘এভাবে ভাবিনি। একজন একজনকে অপছন্দ করতেই পারে। জোর করে কিছু হয় না। আমার ভালো খেলা যাওয়াই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস ছিল। কোচ নিয়ে চিন্তা ছিল না। কেউ আসবে, কেউ যাবে। কিন্তু আমাকে খেলে যেতেই হবে’—আজ বিকেলে সংবাদমাধ্যমকে বলছিলেন এনামুল।
তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেও উপেক্ষিত থাকায় হতাশ হননি। এনামুল এটাকে নিয়েছেন চ্যালেঞ্জ হিসেবে, ‘আমার জন্য ঘরোয়া পর্যায়ের প্রতিটি লিগই চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রিমিয়ার লিগেই যেমন শেষ হলেই কথা উঠত বিজয় (এনামুল) কত রান করল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও একই কথা। বিপিএলেও সবাই দেখেছে কত করলাম। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। নিজেকে আরও ভালো কিছুর জন্য অনুপ্রাণিত করা, ভালো খেলতে না পারায় হতাশা। সব সময় বড় স্বপ্ন দেখি। এ কারণে হয়তো হতাশ হই না।’
গত কিছুদিনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে এনামুলের লম্বা কেশ নিয়ে। কেন চুল বড় রেখেছেন, কত দিন রাখবেন—কত প্রশ্ন এনামুলের নতুন হেয়ার স্টাইল নিয়ে! এমনই খবর ছড়িয়ে পড়েছে, জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি নাকি চুল বড় রাখবেন! যদিও এনামুল সেটি উড়িয়ে দিলেন, ‘চুল বড় রাখা আমার মায়ের খুব পছন্দের। বাবা যদিও পছন্দ করেন না। তবে মা পছন্দ করেন। তাঁর জন্যই রাখা। তিনি বলেছেন যে চুল বড়ই থাক। অনেক দিন পর জাতীয় দলে এসেছ, বড়ই থাক (চুল)। মন দিয়ে খেলো। দলের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করো। পরে যদি মনে চায় ফেলে দিয়ো।’