সামনে কঠিন সময়: সিইসি

ec-comissonarরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের বিপরীত অবস্থানের প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচনের সময়টিকে ‘কঠিন’ বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। এজন্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

শনিবার বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন সার্ভিসেস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সাধারণ সভায় কাজী রকিব বলেন, “সামনে সংসদ নির্বাচন। বিশাল কর্মযজ্ঞ এটা। সামনে কিন্তু কঠিন সময়।

“এই কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে আপনাদের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।”

আগামী জানুয়ারি মাসে দশম সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আপত্তি জানিয়ে আসা বিএনপি ইসির নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

সভায় ইসি কর্মকর্তারা তাদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে আলোচনা করেন। সিইসি তাদের নিজেদের আগে জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করতে বলেন।

“নির্বাচনের মহাযজ্ঞে অনেককে দিয়ে কাজ করাতে হয় ইসিকে। অন্যদের দিয়ে কাজ করানোয় প্রতিকূলতাও রয়েছে। ইসির কর্মকর্তাদের বুদ্ধিমত্তা, ট্যাক্টফুলনেস, দক্ষতা ও আইন বিষয়ে জানা না থাকলে কাজটা উঠিয়ে নেয়া কঠিন।

“নির্বাচন না থাকলে আপনাদের অস্বিত্ব নেই। নির্বাচনে আপনারা সরাসরি ভূমিকা রাখেন। এর চেয়ে বড় দায়িত্ব আর হতে পারে না।”

নির্বাচনী দায়িত্বের ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি মেনে নেয়া হবে না বলেও কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন সিইসি।

সমালোচনা এড়িয়ে যেন কাজ করা যায়, সেদিকে মনোযোগী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচনের আগে কয়েকদফা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবেন বলেও জানান সিইসি।

আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে আয়োজিত এই সভায় চার নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে শুধু জাবেদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সচিবালয় ও মাঠপর্যায়ের তিন শতাধিক কর্মকর্তা প্রথমবারের মতো অ্যাসোসিয়শেনের ওই সাধারণ সভায় অংশ নেন।

কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিক বলেন, “দশম সংসদ নির্বাচনের কোনো কাজ আগামীকাল করব, তা বলার সুযোগ নেই। যথাসময়ে কাজগুলো করতে হবে।”

অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী বলেন, “আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে যে কোনো গুরুদায়িত্ব পালন করতে আমরা প্রস্তুত।”

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ লাখেরও বেশি লোকবল শুধু ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবেই থাকে। তাতে অল্পসংখ্যক কর্মকর্তা থাকে ইসি সচিবালয়ের। এতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া সাত লাখেরও বেশি নিয়োজিত থাকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।

নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তারা উপ নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ