ঐশীকে কারাগারে স্থানান্তর
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাবা-মা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের ঐশী রহমানকে আদালতের নির্দেশে কিশোর সংশোধনাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ঐশীকে নিয়ে ঢাকায় রওনা দেন কেন্দ্রের উপসহকারী তত্ত্বাবধায়ক মো. সিদ্দিকুর রহমান।
ঐশীর সঙ্গে তাদের বাড়ির গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন সুমীকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক লুৎফুন নেসা এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঐশীকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে আসে।
কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে আসার সময় পরা পোশাক পরেই ঐশী ও সুমি এদিন ঢাকায় রওনা হয় বলে জানান তিনি।
সাদা ওড়না, চেক শার্ট ও জিন্স প্যান্ট পরা অবস্থায় ঐশী সংশোধনাগার থেকে বের হয়। সেখানে থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে পরিবারের কেউ দেখা করেনি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ঐশী ও সুমীকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
স্কুলের নথি অনুযায়ী ঐশীর বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় গত ২৪ অগাস্ট তাকে কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
তবে এরপর খুলনায় জন্ম নেয়া ঐশীর জন্মসনদ দাখিল করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু আল খায়ের গত ২৯ অগাস্ট ঐশীকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
খুলনার একটি ক্লিনিকের জন্মসনদ সম্বলিত ওই আবেদন যাচাই করে ঢাকা মহানগর হাকিম আনোয়ার ছাদাত গাজীপুরের কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ঐশীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ওই জন্মসনদ অনুযায়ী ঐশীর বয়স ১৮ বছরের বেশি।
গত ১৬ অগাস্ট এসবি পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ তাদের চামেলীবাগের ফ্ল্যাটে পাওয়া যায়।
তার আগের দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া ঐশী ১৭ অগাস্ট পুলিশের কাছে ধরা দেয়। সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঐশীর বিদ্যালয়ের সনদ অনুযায়ী তার বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে রিমান্ডে নেয়া নিয়ে সমালোচনা ওঠে।
এই বয়সের কাউকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ড শিশু অধিকারের লঙ্ঘন বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঐশীর বয়স প্রমাণের জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করে পুলিশ, তবে তার প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি।