পাচার হচ্ছিল ৪৯৪টি সুন্ধি কাছিম

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ভারতে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার সময় খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে ৪৯৪টি সুন্ধি কাছিম উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শাখা এসব কাছিম উদ্ধার করে। র‍্যাব-৬ এতে সহায়তা করে।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, উদ্ধার করা সুন্ধি কাছিমগুলোর ওজন আনুমানিক চার মণের মতো হবে। সবচেয়ে ছোটটির ওজন ৫০০ গ্রাম। এখানে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি ওজনের কাছিম আছে।

বন বিভাগের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শাখা সূত্রে জানা যায়, বরিশালের অগৈলঝাড়া থেকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার উদ্দেশে একটি পিকআপে করে কাছিম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে গতকাল রাতে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে পিকআপটি আটক করা হয়। কাছিমগুলো বস্তা ও প্লাস্টিকের বড় ড্রামে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পিকআপের চালক মো. মাসুম মোল্লা (৪৩) ও কাছিমগুলোর বাহক শুভদেব রায় (৩০) ও প্রদীপ কুমার বাড়ইকে আটক করা হয়। তাঁদের সবার বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়ায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বলেছেন, আগৈলঝাড়ার বাসিন্দা উত্তম কুমারের কাছ থেকে কাছিমগুলো নিয়ে তাঁরা পাটকেলঘাটার গৌরাঙ্গ নামের একজন ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। এগুলো পরে ভারতে পাচার করা হতো।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মদিনুল আহসান বলেন, সুন্ধি কাছিম বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন (২০১২)–এর সিডিউলভুক্ত প্রাণী। সুন্ধি কাছিমকে ইংরেজিতে বলা হয় স্পটেড ফ্লাপশেল টার্টল। বাংলাদেশের নদীনালা ও খালে একসময় প্রচুর পাওয়া যেত এই কাছিম। এদের খোলসে ছোপ ছোপ দাগ থাকে।

মদিনুল আহসান জানান, কাছিমগুলো খুলনার বন্য প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে এই প্রাণীগুলোকে অবমুক্ত করা হবে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ