খালি প্যাকেটেরই ওজন ১৯৪ গ্রাম !

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: প্যাকেটের বাড়তি ওজনের কারণে প্রতিদিনই কেনাকাটায় ঠকছেন ক্রেতারা। ফল কিনতে গেলে ভারী প্যাকেটের নিচে চাপা পড়ে যায় ফলের আসল ওজন। একই ঘটনা ঘটে মিষ্টি, দইসহ প্রায় সব পণ্যে। বেশি দাম দিয়ে পণ্য ওজনে কম পেতে অনেকটা যেন অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন লোকজন। মাঝে মাঝে বাড়তি ওজনের প্যাকেট নিয়ে বিক্রেতার সঙ্গে ক্রেতার বচসা যে একেবারে হয় না, তা নয়। তবে প্রতিকার পাওয়া যায় না।তবে এবারের ঘটনায় ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন। এমন বাড়তি ওজনের প্যাকেট বা বাক্সের কারণে জরিমানা গুনতে হয়েছে এক মিষ্টির দোকানকে।

ওই দোকানে মিষ্টি বিক্রির ক্ষেত্রে ভারী প্যাকেট ব্যবহার করা হয় এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার কুষ্টিয়া শহরে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে দোকানের প্যাকেট পরীক্ষা করে দেখা যায়, খালি প্যাকেটেরই ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম উছেন মের নেতৃত্বে শহরের মিষ্টির দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারে মিষ্টি দেওয়ার জন্য রাখা খালি প্যাকেটের ওজন করা হয়। ওজন পরিমাপের সময় দেখা যায়, একটি খালি প্যাকেট ১৯৪ গ্রাম।

উছেন মে বলেন, খালি প্যাকেটের ভেতরে নিচে বেশ কিছু অতিরিক্ত কাগজ দেওয়া ছিল। এই প্যাকেটে মিষ্টি নেওয়ার অর্থ, এক কেজি মিষ্টি কিনে ক্রেতা পাবেন ৮০০ গ্রাম।
উছেন মে বলেন, আইন অনুসারে, ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিককে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর দোকানে থাকা খালি প্যাকেটগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিএসটিআই খুলনার ইন্সপেক্টর আবদুর রাকিব উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ