দাবি না মানলে ঢাকা অচল: ইনসাব
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: আগামী বাজেটে অর্থ বরাদ্দ ও ১২ দফা দাবি মানা না হলে ঢাকা অচল করে দেওয়া হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেছে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব)।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘১৮ জানুয়ারি নির্মাণ শ্রমিকদের দাবি দিবস’ উপলক্ষে ইনসাব আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন। সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা বের হয়।
২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের বাজেটে নির্মাণ শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়ন ও ১২ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-নির্মাণ শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা, পেনশন স্কিম চালু, রেশনিং ব্যবস্থা, শ্রম আইনে কর্মস্থলে নিহত শ্রমিককে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও আজীবন পঙ্গুত্ব বরণকারী শ্রমিককে ২০ লাখ টাকার অন্তর্ভুক্তি, নির্মাণ কলোনি স্থাপন করে শ্রমিকদের বাসস্থান নিশ্চিতকরণ প্রভৃতি।
নির্মাণ শ্রমিকদের দাবি পূরণ না হলে তা ভালো হবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আগামী বাজেট পর্যন্ত দেখব। যদি সমাধান না হয় তখন সকল শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে এসে আসব। ঢাকা অচল করে দেব।’
ইনসাবের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন, চোখের সামনে যত ভবন দেখা যায়, সব এই শ্রমিকদের হাতে গড়া। তাঁদের হাত না থাকলে দেশে উন্নয়ন সম্ভব না। তিনি এই শ্রমিকদের বাসস্থান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, সরকারের বিভিন্ন বাহিনী যদি দেশ রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য রেশন পান, তবে যাঁরা দেশ গড়ার কাজ করেন তাঁদেরও রেশন দেওয়া উচিত।
শ্রম আইনে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ এক লাখ টাকাকে বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দেশে শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় স্থান আছে নির্মাণ শ্রমিকেরা। সবচেয়ে বেশি আহতও হয় তারা। তিনি শ্রমিকদের আহ্বান জানান, কর্মক্ষেত্রে নিয়োগপত্র এবং পরিবেশ নিরাপদ আছে কি না তা দেখে কাজ করুন।
সংগঠন থেকে জানানো হয়, একই সঙ্গে দেশের প্রায় ২৫টি জেলায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইনসাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান প্রমুখ।