সংবিধান সংশোধন হচ্ছে না: আইনমন্ত্রী
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সংসদের আগামী অধিবেশনে সংবিধান সংশোধনের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
আবারো সংবিধান সংশোধনের সম্ভাবনা নিয়ে গণমাধ্যমের খবর ও বিরোধী দলের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে রোববার বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের জাতীয় সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানেই বলা আছে যে নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাদের কাজ হলো নির্বাচন পরিচালনা করা। আর নির্বাচনকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে দৈনন্দিন কাজ করা, তারা কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
“নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংবিধানে কোনো সংশোধনীর প্রয়োজন নেই। আর এরকম কোনো পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে না।”
গত ২৭ অগাস্ট আইনমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ও পরদিন কয়েকটি দৈনিকের খবরে বলা হয়, নির্বাচনের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকারপ্রধান রেখেই ছোট আকারের মন্ত্রিসভা হবে। আগ্রহী হলে বিরোধী দলও থাকবে সেই সরকারে।
এর সূত্র ধরে শুক্রবার এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ অভিযোগ করেন, সরকার সংবিধান সংশোধনের ‘নতুন ষড়যন্ত্র’ করছে।
একই দিনে রাজধানীর ইডেন কলেজে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সংসদের আগামী অধিবেশনে নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকারের রূপরেখা উত্থাপন করবেন।
বিরোধী দলের উদ্দেশে ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নাসিম বলেন, “এটা আপনাদের শেষ সুযোগ। ১২ সেপ্টেম্বর সংসদ অধিবেশন বসছে আপনারা সেখানে যোগ দিন। সেখানে আমরা অন্তবর্তী সরকার নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের আইনমন্ত্রী অন্তবর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা দেবেন। বলার কিছু থাকলে সেখানে প্রস্তাব নিয়ে আসুন।”
তবে ওই রূপরেখার বিষয়ে রোববার কোনো মন্তব্য করেননি আইনমন্ত্রী।
শান্তি পরিষদের অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমরা জানি, সংবিধান অনুসারে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বা পরে নির্বাচন হতে পারে। মেয়াদপূর্তির পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন হতে গেলে কোন সময়ে সংসদ ভেঙে দিতে হবে?”
জবাবে মন্ত্রী বলেন, “পরিস্থিতিই তা বলে দেবে।”
বিশ্ব শান্তি পরিষদের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।