সাংসদ মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অনুষ্ঠানে এক মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনে শরীয়তপুরের সাংসদ বি এম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
আজ সোমবার ঢাকার প্রেসক্লাবের সামনে সাংসদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সমন্বয় কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ নামে চারটি সংগঠন।
গত বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে সাংসদের দুর্ব্যবহারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মানববন্ধনে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠনটির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান-অপদস্থ করা হচ্ছে? মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কেন রাস্তায় নামতে হচ্ছে? তিনি বলেন, একজন সাংসদ মুক্তিযোদ্ধাকে যে ভাষায় গালি দিয়েছেন, এটা কোনোভাবে কাম্য নয়। শিগগিরই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।
‘বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ’-এর সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ আহম্মেদ সাংসদ মোজাম্মেল হকের অপসারণ দাবি করেন। তিনি সাংসদকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলেন।
অভিযোগের বিষয়ে সাংসদ বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, এলাকায় তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মোবারক আলী শিকদার ও মজিবর মাস্টার এসব করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়ানোর পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, এসবই করা হচ্ছে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তাঁকে হেয় করার জন্য।
সাংসদ মোজাম্মেলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁকে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি যোগাযোগ করেননি।
ভিডিওতে দেখা যায়, ওই দিনের সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ মোজাম্মেল হককে একজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। কথা বলার একপর্যায়ে সাংসদ মোজাম্মেল ওই মুক্তিযোদ্ধাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার শামসুল হক খান বলেন, ‘সেদিন অনুষ্ঠানে এক মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে সাংসদের কথা হয়েছিল। সেখানে তাঁদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আজ আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বসে কথা বলেছি। কোনো মুক্তিযোদ্ধা সেদিনের বিষয়ে আপত্তি করেনি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাংসদকে এলাকায় বিতর্কিত করতে অনেকে চেষ্টা করছেন।