জুবায়ের হত্যা মামলায় খালাস পেলেন ৪ জন
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলায় বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ের গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচজন হলেন খন্দকার আশিকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, জাহিদ হাসান, মাহবুব আকরাম ও খান মোহাম্মদ রইস। এঁদের মধ্যে রাশেদুল ইসলাম আপিল করেন, অপর চার আসামি পলাতক বলে রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে।
আর যাবজ্জীবন বহাল থাকা দুজন হলেন ইশতিয়াক মেহবুব ও নাজমুস সাকিব। খালাস পাওয়া চারজন হলেন মাজহারুল ইসলাম, শফিউল আলম, কামরুজ্জামান ও অভিনন্দন কুণ্ডু। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের মধ্যে পলাতক ইশতিয়াক মেহবুব ছাড়া অপর পাঁচজন আপিল করেছিলেন।
আসামিরা সবাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী।
এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর উচ্চ আদালতে আসা আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ছয় আসামির করা আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি গ্রহণ করেন। ৯ জানুয়ারি শুনানি শেষ হয়। এরপর বিষয়টি রায়ের জন্য রাখা হয়।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি জুবায়েরকে ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে কুপিয়ে জখম করেন। পরদিন ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানায় মামলা করে। তদন্ত শেষে পুলিশ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মদিনাবাগ নাবলাপাড়ার মো. তোফায়েল আহমেদের ছেলে জুবায়ের।
এই হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, খালাস পান দুজন।