এবারো ষড়যন্ত্র হতে পারেঃ মির্জা আব্বাস

Mirza Abbas মির্জা আব্বাসরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ২০০৭ সালের মতো এবারো বিএনপির ভেতর থেকে ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলের নীতি-নির্ধারকদের অন্যতম মির্জা আব্বাস।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য সোমবার এক আলোচনা সভায় এই শঙ্কার কথা জানিয়ে নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর মির্জা আব্বাসসহ অনেক নেতা কারাবন্দি থাকা অবস্থায় বিএনপিতে সংস্কারের দাবি তোলেন শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা।

এক পর্যায়ে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তিনি তৎকালীন মহাসচিবসহ কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করেন।

ওই বহিষ্কারাদেশের পর দলের একটি অংশ বিএনপির নামেই কার্যক্রম চালাতে থাকে, যাকে দল ভাঙার ষড়যন্ত্র বলে আসছেন খালেদা জিয়া। পরে নির্বাচনের আগে অবশ্য ওই বিভেদের বাহ্যিক অবসান ঘটে।

মির্জা আব্বাস বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার কথা ছিল না। নেত্রী আমাদের বলেছিলেন, তিনি নির্বাচনে যাবেন না। হঠাৎ করে তিনি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন।

“যারা তাকে নির্বাচন যাওয়ার তাগিদ দিয়েছিল, ওই সব ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে আমাদের সর্তক থাকতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্রকারী যাতে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে দলকে নিয়ে যেতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারণ ওয়ান-ইলেভেনের বেঈমানরা এখন সক্রিয় আছে।”

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ওয়ান-ইলেভেনের ‘কুশীলবদের’ বিচারের পাশাপাশি দলের ভেতরের ‘বেঈমানদের’ বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে, বলেন সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস।

বর্তমানে নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা বয়কটের ঘোষণাও রয়েছে প্রধান বিরোধী দলের।

তারেক রহমানের ষষ্ঠ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বাধীনতা ও সংহতি ফোরাম’ আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে যেন দেশে ফিরতে না পারেন, সেই ‘ষড়যন্ত্র’ও চলছে।

জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার তারেক জামিনে মুক্তি নিয়ে ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্য যান। ডজন খানেক মামলা মাথায় নিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানেই রয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান।

মির্জা আব্বাস বলেন, “নির্দলীয় সরকার ও তারেক রহমানকে ছাড়া আমরা আগামী নির্বাচনে যাব না। দলের ভেতরে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে এবার নেত্রীকে দিয়ে কিছু করাতে না পারে, সেজন্য আমরা সব চেষ্টা চালিয়ে যাব।”

প্রেসক্লাবের ওই আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা মহানগর নেতা আবু সাঈদ খান খোকন, মহিউদ্দিন খান মোহন, ‘স্বাধীনতা ও সংহতি ফোরাম’র সভাপতি নুরুল আফসার বাহাদুর প্রমুখ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ