একশ হলো না বাংলাদেশের !
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে ব্যাটিং লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসের অর্ধেক ওভারও খেলতে পারেনি মাশরাফি বিন মতুর্জার দল। ২৪ ওভারে তাঁরা অলআউট হয়েছে মাত্র ৮২ রানে! ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
এর আগে তিন ওভারের ব্যবধানে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে তামিম আউট হলে ৩ উইকেটে ১৬ রান নিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। এরপর ১১তম ওভারে সুরঙ্গা লাকমলের বাউন্সার হুক করতে গিয়ে ফাইন লেগে দুশ্মন্ত চামারার তালুবন্দী হন মাহমুদউল্লাহ (৭)। এমন বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মুশফিক–সাব্বিরের ব্যাটে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু অস্থিরতার পরিচয় দিয়ে দ্রুতই ফিরে যান সাব্বির। ১৭তম ওভারে থিসারা পেরেরাকে মিড অনে তুলে মারতে গিয়ে শেহান মাদুশঙ্কার তালুবন্দী হন। তাঁর আউটে বাংলাদেশের বিপর্যয় আরও ঘনীভূত হয়।
তৃতীয় ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই সুরঙ্গা লাকমলের বলে প্লেড অন হয়ে ফিরেছেন এনামুল। টুর্নামেন্টে এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হলেন এই ওপেনার। তাঁর ফিরে যাওয়ার পর সাকিব আল হাসানও বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে তামিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে রানআউট হন সাকিব (৮*)। সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্প ভেঙেছেন লঙ্কান ফিল্ডার দানুস্কা গুনাতিলোকা। এক বল পরই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে গুনাতিলোকার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন তামিম (৫)। সর্বোচ্চ ২৬ রান করে আউট হন মুশফিক।
বাঁ–হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের পরিবর্তে বাংলাদেশ দলে ঢুকেছেন পেসার আবুল হাসান রাজু। নিচের দিকে ব্যাট করতে পারলেও আবুল হাসানও উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সাব্বির আউট হওয়ার এক ওভার পরই উইকেটের পেছেনে নিরোশান ডিকভেলাকে ক্যাচ দেন তিনি। ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০৮ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
গ্রুপ পর্বের এই শেষ ম্যাচটি জিতলে ফাইনালে উঠবে শ্রীলঙ্কা। হারলেও শ্রীলঙ্কার (-০.৯৮৯) ফাইনালে ওঠার পথ খোলা থাকবে, তবে সে ক্ষেত্রে জিম্বাবুয়ের (-১.০৮৭) চেয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকতে হবে দিনেশ চান্ডিমালের দলকে।