তরুণীর মাথা উদ্ধার
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় এক তরুণীর খণ্ডিত মাথা ও ধড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে হাত ও পা পাওয়া যায়নি। আজ শুক্রবার সকালে রাজনগর ইউনিয়নের সুরতখাল-সংলগ্ন একটি আবাদি জমিতে পৃথকভাবে পুঁতে রাখা অবস্থায় মাথা ও ধড় উদ্ধার করা হয়।
রোকসানা ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। রোকসানার মা জামাকাপড় দেখে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রাজনগর ইউনিয়নের চাঁদগাঁও গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে মাসুদ এক সন্তানের মা রোকসানাকে কাজ দেওয়ার কথা বলে ১৭ জানুয়ারি নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। গত মঙ্গলবার থেকে রোকসানাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার সন্ধ্যায় সুরতখাল-সংলগ্ন মাসুদের আবাদি জমিতে ওই নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদকে খবর দেয়। চেয়ারম্যান বিষয়টি দ্রুত নালিতাবাড়ী থানার পুলিশকে জানান। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সন্ধান পায়নি। দুই দিন খোঁজাখুঁজির পর আজ শুক্রবার সকালে সুরতখালের পাশে জমিতে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানায়। পরে মাটি খুঁড়ে রোকসানার খণ্ডিত মাথা ও আরেক জায়গায় মাটি খুঁড়ে শরীরের একাংশ পায়। তবে হাত-পা পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে রোকসানার মা জামাকাপড় দেখে লাশ শনাক্ত করেন। লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মাসুদ তাঁর পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন, চাঁদগাঁও গ্রামের মাসুদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। মেয়েটিকে কাজ দেওয়ার নাম করে বাড়িতে এনে হয়তো ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরে লোকজন টের পেয়ে গেলে লাশ গুম করার জন্য টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় পুঁতে রাখা হয়েছে। মাথা ও শরীরের একাংশ উদ্ধার হলেও হাত-পা এখনো পাওয়া যায়নি।
শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এটা একটা নৃশংস হত্যা। লাশের হাত-পা উদ্ধারের জন্য তল্লাশি চলছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।’