সেই আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: অপহরণ চক্রের প্রধান ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে এবার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রায় আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সেলিম মোল্লা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক। চতুর্থ শ্রেণির এই সরকারি কর্মচারী দুদকের সম্পদ বিবরণী নোটিশের জবাবে যে বিবরণী জমা দেন তাতে ২ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনি ২ কোটি ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। সে কারণ তাঁর বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
সরকারি কর্মচারী হলেও সেলিম মোল্লা মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। পাশাপাশি তাঁর ছেলে রাজীবুল হাসান ওরফে রাজীব একই উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। রাজনৈতিক এই পরিচয়ের আড়ালে তাঁরা দুজনে মিলেই নেতৃত্ব দেন একটি অপহরণ চক্রের। চক্রের অন্য সদস্যরাও আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত রোববার সেলিম মোল্লাসহ অপহরণ চক্রের ১০ জনকে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, সেলিম মোল্লার গ্রামের বাড়ি হরিরামপুর উপজেলার কামারঘোনা গ্রামে। প্রায় চার বছর আগে তিনি ওই এলাকায় বাড়ি করেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চতুর্থ শ্রেণির চাকরি করলেও অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে তিনি বিত্তশালী হয়ে ওঠেন। তিনতলা ডুপ্লেক্স বাড়ির দক্ষিণ পাশে দুই তলা আরেকটি ভবন নির্মাণ করেছেন। চার-পাঁচ বছর ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। সেলিম মোল্লা স্থানীয় ঝিটকা আনন্দ মোহন উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির কয়েকবারের সভাপতিও। বিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রায় আট বিঘা জমিতে মাটি ভরাট করে ৩০০ দোকান ঘর বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে।