পুলিশ এখনো ফুটেজ সংগ্রহ করছে

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় কলেজছাত্রীকে হয়রানির ঘটনায় কারা জড়িত ছিল, সেই উত্তর এক সপ্তাহ পার হলেও পাওয়া যায়নি। পুলিশ বলছে, তারা এখনো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছে। এরপর জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের কাজ শুরু হবে।

৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেওয়া একটি মিছিল থেকে কিছু তরুণ ওই ছাত্রীকে হয়রানি করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ওই ছাত্রী নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্ট্যাটাস দেয় এবং তা ছড়িয়ে পড়ে। হয়রানির ঘটনাটি নিয়ে ফেসবুকে তুমুল সমালোচনা হয়। পরে স্ট্যাটাসটি রাজনৈতিক প্রচারে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে সে তা সরিয়ে নেয়।

হয়রানির ঘটনায় ৯ মার্চ ছাত্রীটির বাবা রমনা থানায় মামলা করেন। মামলায় বলা হয়েছে, ৮৯ নিউ ইস্কাটনে ছাত্রীটিকে হয়রানি করা হয়েছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা যায়, ঘটনাস্থলের পাশেই সাঈদ মোটরস নামে গাড়ির যন্ত্রাংশের একটি দোকান রয়েছে। ওই দোকানে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। তবে আশপাশের লোকজন জানান, ঘটনাস্থলটি পূর্ব পাশের মহসিন প্লাজা এবং পশ্চিম পাশের হোম টাউন অটো পার্টস মার্কেটের সিসি ক্যামেরার আওতাধীন।

 মহসিন প্লাজায় গেলে সেখানকার নিরাপত্তা তত্ত্বাবধানকারী আসলাম বলেন, ঘটনার এক দিন পরই রমনা থানার পুলিশ এসে তাঁদের সিসি ক্যামেরার পুরো রেকর্ড নিয়ে যায়।

ফুটেজ নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে হোম টাউন অটো পার্টস মার্কেট কর্তৃপক্ষও। অর্থাৎ ঘটনাস্থলের দৃশ্য ধারণকারী সবচেয়ে কাছের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশের কাছে।

মগবাজার মোড় থেকে ঘটনাস্থলটির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। রাস্তার যে পাশে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে সারি সারি গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান। অনেক দোকানের সামনেই সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু রাস্তার দৃশ্য ধারণ করে এমন সিসি ক্যামেরা তেমন নেই।

ঘটনাটি তদন্ত করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (পশ্চিম)। তদন্ত দলের সহকারী কমিশনার শামসুল আরেফিন বলেন, মগবাজার মোড় থেকে ঘটনাস্থল পর্যন্ত তাঁরা যত বেশি পারছেন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছেন। তা ছাড়া ট্রাফিক পুলিশের যত সদস্য সেদিন এই এলাকায় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ঘটনাস্থলটি নিশ্চিত হতে পেরেছেন কি না এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজে উল্লেখযোগ্য কিছু পাওয়া গেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শামসুল আরেফিন বলেন,  ফুটেজে তাঁরা ভুক্তভোগীর ‘মুভমেন্ট’ পেয়েছেন। এর বেশি কোনো মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি। অবশ্য ১২ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, ‘ওই ছাত্রীর ওড়না ধরে যে টানাটানি করেছে, এটা সত্যি।’

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ