ডিজিটাল আইন আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসিনিউজ,
ঢাকা : মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু কিছু অংশ আন্তর্জাতিক আইন ও মানদন্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থাকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হলেও তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। আবার আইনটির অনেক বিধানই প্রচলিত দন্ডবিধিতে রয়েছে।
প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কানাডাভিত্তিক অলাভজনক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর ল অ্যান্ড ডেমোক্রেসির বিশ্লেষণে এমন অনেক বিষয়ই উঠে এসেছে।
গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল-২০১৭-এর খসড়ার অনুমোদন দেয়। চলতি মাসে বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের পর তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এই বিলে এমন বেশ কিছু বিষয় রয়েছে, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিতকরণে ব্যবহৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৭ ধারায় ২০১৩ সালে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, সেগুলো প্রস্তাবিত বিলেও রাখা হয়েছে।
সেন্টার ফর ল অ্যান্ড ডেমোক্রেসির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্নে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি এবং ইন্টারন্যাশনাল কনভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসের (আইসিসিপিআর) সঙ্গে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক। ২০১১ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটিতে ১৭০টি দেশের অনুমোদনে যে ৩৪ নম্বর সাধারণ মন্তব্য গৃহীত হয়, তাতে বলা হয়েছে, ‘অনুচ্ছেদ-২ যে কোনো প্রকার মত ও তার ব্যাখ্যা প্রচারের সুরক্ষা দেয়…এগুলোর মধ্যে সব ধরনের অডিও-ভিজ্যুয়ালসহ ইলেকট্রনিক ও ইন্টারনেটভিত্তিক মত রয়েছে।’

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ