দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

Mirza Fokhrul Fakhrul Islam মির্জা ফখরুল ইসলামরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আওয়ামী লীগ যাকে গণতন্ত্রের মানসকন্যা বলে সেই প্রধানমন্ত্রী দেশকে ‘অন্ধকার সুড়ঙ্গে’ দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “দেশ এক কঠিন দুঃসময়ের মধ্যে চলছে। চারিদিকে অন্ধকার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সরকার থাকবে। এরপর এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে।

“তিনি এ রকম কথা বলে দেশকে এক অন্ধকার সুড়ঙ্গ ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।”

দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও জানান দলের এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

তিনি বলেন, “এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাবো না। নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন এদেশে হবে না। জনগণ হতে দেবে না।”

রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ষষ্ঠ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

বর্তমানে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।

আলোচনায় সভার আগে ‘বাংলাদেশের অহংকার তারেক রহমান’ শীর্ষক একটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, “যিনি বাংলাদেশের একজন অবিসংবাদিত নেতার কন্যা, যার দলের নেতা-কর্মীরা তাকে গণতন্ত্রের মানসকন্যা বলেন, তিনি নিজের অধীনে নির্বাচন করার কথা বলে দেশকে অনিশ্চিয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছেন।”

তিনি অভিযোগ করেন, পাঁচটি সিটি নির্বাচনের ফলাফল ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে সরকার বুঝে গেছে, তারা আর নির্বাচনে জিততে পারবে না। তাই কীভাবে ক্ষমতায় থাকা যায়, সেজন্য তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তারেক রহমানকে জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক হিসেবে অভিহিত করে ফখরুল বলেন, “দেশের চলমান রাজনীতির সংস্কৃতিতে প্রতিহিংসা, দুর্নীতি ও মিথ্যাচারের বিপরীতে তারেক রহমান একজন ব্যক্তিক্রমী রাজনীতিবিদ। তৃণমূল রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্থান করা এই নেতা আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে আছেন।”

‘নির্বাসিত’ থেকেও তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হয়ে আছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “তারেক রহমান গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে তৃণমূলের রাজনীতি করে জনগণকে সংগঠিত করেছে বলে তাকে ভয় পায় সরকার। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।”

ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিন সরকারের নির্যাতনে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “পরিকল্পিতভাবে তারেক রহমানকে হত্যার অপচেষ্টা হয়। কারাগার থেকে রিমান্ডে নিয়ে তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছিলো। পরে আজকের প্রধানমন্ত্রী ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন।”

আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ওই ঘটনার জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করবে বলে জানান তিনি।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, কবি আবদুল হাই শিকদার ও ‘বাংলাদেশের অহংকার তারেক রহমান’ গ্রন্থের সম্পাদক ড. কে এম এম এন শাহাদাত হোসেন মন্ডল বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ