বাতিলের প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতদের ভোটাধিকার বাতিল করে মন্ত্রিসভার নেয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামী এক বিবৃতিতে জানায়, নির্বাচন থেকে বিরত রাখতেই জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার পদক্ষেপ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইাব্যুনালে ঘোষিত রায়ের বাহানায় ভোটার তালিকা আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে।
মন্ত্রিসভার ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
বাহাত্তরের দালাল আইন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে সাজাপ্রাপ্তদের ভোটার হওয়ার পথ বন্ধ করতে আইন সংশোধনের একটি প্রস্তাব সোমবার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত ছয় জনের মধ্যে পাঁচজনই ১৮ দলীয় জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক জামায়াতে ইসলামীর নেতা। অন্যজনও দলটির সাবেক নেতা, যিনি রায়ের আগেই দেশ থেকে পালিয়ে যান।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বিবৃতিতে বলেন, এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার একদিকে ব্যক্তির মৌলিক অধিকার খর্ব করেছে, অপরদিকে মানবাধিকার লংঘন ও সংবিধানকে পদদলিত করেছে।
“আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্ইাব্যুনাল কর্তৃক ঘোষিত রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছে। সুতরাং ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত নয়। এই বিচার পক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় কাউকে দোষী হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই।”
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি রয়েছেন বিএনপির দুই নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আব্দুল আলীম। তাদের বিচার শেষের পথে।
এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি মো. ওয়াক্কাসকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ।
১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব ওয়াক্কাসকে মতিঝিলে হেফাজতের ৫ মের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার মামলায় সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়।