সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে মুক্তামণি

বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,
এবিসিনিউজবিডি : বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার সেই মুক্তামণি সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে। সুস্থ হতে চিকিৎসকদের দীর্ঘ চেষ্টা ব্যর্থ করে ২৩ মে ২০১৮ (বুধবার) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের নিজ বাড়িতেই মৃত্যুবরন করে মুক্তামনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১২ বছর।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মুক্তামণির বাবার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বও সে ঢামেক বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে যায়।

গত কয়েকদিন থেকেই মুক্তামণির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তার হাত আগের থেকে অনেক ফুলে গিয়েছিল। ঢাকা মেডিকেল থেকে কওে দেয়া ব্যান্ডেজ খুলে পরিষ্কার করার সময় হাত থেকে বেরিয়ে আসছিল বড় বড় পোকা। হাতটি কয়েকগুণ ফুলে যাওয়ায় দুই-এক ঘণ্টা ছাড়া সারাদিনই শুয়ে থাকতে হতো তাকে। দুর্গন্ধ বেড়েছিল অনেক বেশি। রোগের বিস্তার ধীরে ধীরে বুক, পেট আর পায়েও ছড়িয়ে পড়ছিল। তার সুস্থতার ভরসা রাখতে পারছিলেন না চিকিৎসকরাও। চিকিৎসকের নির্দেশমতো বন্ধ ছিল সব ধরনের ওষুধ সেবন।

গত বছরের (২০১৭) ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় মুক্তামণিকে। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার পর তাকে সিঙ্গাপুওে নেয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুক্তামণির হাত দেখে আঁতকে ওঠেন। একইসঙ্গে হাত অপারেশনের জন্য অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা দেশেই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কয়েক দফা অপারেশনও করেন। তবে হাতের কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ