ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না: ফখরুল

fakhrul-460রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সময় ফুরিয়ে ‘দেয়ালে পিঠ’ ঠেকে গেলেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ‘ফাঁদে’ বিএনপি পা দেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘‘ একবার লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব করেছিলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে বিরোধী দলের সদস্যদের নিয়ে একটি ক্ষুদ্র অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করা হবে। এখন তা থেকে সরে গিয়ে তিনি বলছেন, তার অধীনে ভোট হবে। সংসদ বহাল থাকবে।’’

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে ‘দুর্বার’ আন্দোলনের ‘সর্বাত্মক প্রস্তুতি’ নেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল।

তিনি বলেন, “আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মাত্র কয়েক সাপ্তাহ বাকি।আমরা বলতে চাই, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনো নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে না। আওয়ামী লীগের এই ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না। ’’

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভার পর গত মাসে লন্ডনের একটি হোটেলে তারেক রহমানের দেয়া বক্তব্যের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকার সংবিধান কাঁটা-ছেঁড়া করে নিজের মতো করে সংশোধন করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করে ভিন্ন লেবাসে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা। যখন সরকার বুঝতে পেরেছে, আগামীতে তারা নির্বাচনে জিততে পারবে না, তখন তারা বলছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা ও  সংসদ বহাল রেখেই নির্বাচন করবে।’’

সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন করার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ‘বিভ্রান্ত করছেন’ বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।

ফখরুল প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন, “বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক দেশে কি বিরোধী দলের ওপর এতো নির্যাতন চালানো হয়? বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম করার ঘটনা ঘটে?”

নির্দলীয় সরকার কেন চান- এ প্রশ্নের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘‘ আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়ার জন্য নয়, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেই আমরা নির্দলীয় সরকার চাই। কিন্তু সরকার তা দিতে চায় না। কারণ তারা জেনে গেছে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের অনেক প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।”

এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ‘সরিয়ে দেয়াই’েএকমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সিনিয়র সহসভাপতি মুনির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আলী রেজাউর রহমান রিপন, উত্তরের আহবায়ক ইয়াসীন আলী, কেন্দ্রীয় নেতা লিটন মাহমুদ, সাহাবুদ্দিন মুন্না, রফিক হাওলাদার আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।”

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ