অন্য রকম জবাব দিতে উন্মুখ রাশিয়ার লুঝনিকি স্টেডিয়াম

ডেস্ক রিপোর্ট, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : একেকটি বিশ্বকাপ আসে আর স্থানীয় আয়োজক সংস্থা বলে এটাই হবে সফল ও সুন্দরতম বিশ্বকাপ। এমন প্রতিযোগিতার শুরু সেই ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপ থেকে। স্মরণ করা যেতে পারে এশিয়ায় অনুষ্ঠিত একমাত্র বিশ্বকাপ ২০০২ কোরিয়া-জাপান। সেবার প্রায় সব জায়গায় দেখা গিয়েছিল পশ্চিমা দুনিয়ার নাক সিটকানো ভাব। এমন যে কোরিয়া-জাপান ভোটের মাধ্যমে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজনের ভার পেয়ে মহা অন্যায় করে ফেলেছে। উত্তরকালে দেখা গেল কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপ একটা মাইলফলকই গড়েছে ফুটবলের ইতিহাসে।

রাশিয়াও প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমা দুনিয়াকে দেখিয়ে দিতে চায়। এই রাশিয়া পুতিনের রাশিয়া, এই রাশিয়া স্নায়ুযুদ্ধকালীন বিষণ্নতা কাটিয়ে আবারও নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাওয়া রাশিয়া।র্

তবে একক খেলার সবচেয়ে বড় আয়োজন বলে ভাবা গিয়েছিল বিশ্বকাপের এক সপ্তাহ আগে দাঁড়িয়ে মস্কোকে টগবগ ফুটতে দেখব। তা কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত দেখা যায়নি। সবার আগে ৫ জুন রাশিয়ায় পা রেখেছে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম এশীয় অভিযাত্রী ইরান। দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের অভিযাত্রায় পরদিন এসেছে হুলেন লোপেতেগির স্পেন। তবু কী যেন নেই কী যেন নেই! ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাই যে আসেনি এখনো। এই দুটি দল যখন আসবে বিশ্বকাপ রাশিয়ার চারদিকে ছড়িয়ে দেবে রং ও রস। ব্রাজিলতো শুধু হলুদ-সবুজ রং নিয়েই আসে না, আসে তার বহু বর্ণিল সমর্থকদের নিয়ে। আর্জেন্টিনার আকাশি রঙের সঙ্গে আসে তাদের ‘বিখ্যাত’ সমর্থকগোষ্ঠী বারাস ব্রাভাস।

প্রধান আইডি সেন্টারের স্বেচ্ছাসেবক ইলিয়া বেশ গম্ভীর স্বরে এমনভাবে কথাটা বললেন যেন এটি তাঁর নতুন আবিষ্কার। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা এলেই দেখবেন রাশিয়ার বিশ্বকাপ রঙে-রসে একেবারে টইটম্বুর করছে!

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ