ঈদের পরেই সরকারপতনের আন্দোলন
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সংকট সমাধানে সংলাপ না হলে ঈদের পরপরই সরকারপতনের আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার সকালে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, “সংলাপ না হলে তীব্র গণ-আন্দোলন ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না। সেক্ষেত্রে ঈদের পরেই ১৮ দলীয় জোট আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করে সরকারের পতনে দিকে এগিয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “১৮ দলীয় জোটের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন আমাদের পেছনের যাওয়ার সুযোগ নেই।”
এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে জনমত গড়তে আট জেলায় খালেদা জিয়ার জনসভার কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রথম জনসভাটি হবে নরসিংদীর বালুর মাঠে।
নোমান বলেন, “নির্দলীয় সরকার নিয়ে অর্থবহ সংলাপ হতে হবে। কোনো লোক দেখানো সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে না।… আমরা সরকারকে বলতে চাই, এখনো সময় আছে- সংকট সমাধানে নির্দলীয় সরকারের ব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজনের উদ্যোগ নিন।”
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে জোটের মহাসচিবদের এই বৈঠক হয়। নরসিংদীর জনসভা সফল করার বিষয়েও আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি সংবিধানে যুক্ত করার দাবিতে বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই নির্বাচন হবে।
বিএনপি নেতা নোমান বলেন, “সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংবিধানে নানা সংশোধনী এনে দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছে। দলীয়করণ করে প্রশাসনের নিরপেক্ষতাকে বিনষ্ট করেছে। আমরা মনে করি, এ অবস্থায় বর্তমান প্রশাসনের অধীনে কোনোভাবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।”
নরসিংদীর জনসভা প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও রয়েছেন আবদুল্লাহ আল নোমান।
তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, নরসিংদীর জনসভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে। সেভাবে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ওই জনসভা উপলক্ষে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে। দেশনেত্রী এই জনসভায় গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন।”
তিনি জানান, রোববার দুপুর ২টায় জনসভা শুরু হবে। বিরোধী দলীয় নেতা নরসিংদীর উদ্দেশ্যে গুলশানের বাসা থেকে রওনা হবেন বেলা ১টায়।
বিএনপির মহানগর আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে বৈঠকে সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালামসহ মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জোটের সহযোগীদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী মজলিশের শূরার সদস্য রেদোয়ান উল্লাহ শাহেদী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য খন্দকার সিরাজুল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
মহানগর বিএনপির যৌথ সভা
সকালে নয়া পল্টনে মহানগর কার্যালয়ের ভাসানী মিলনায়তনে মহানগরের এক যৌথ সভা হয়। নরসিংদী জনসভায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরকে স্বাগত জানানোর প্রস্ততি নিয়ে আলোচনা হয় এই সভায়।
বিএনপি নেতারা জানান, নয়া পল্টন থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীরা রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রীর গাড়িবহরকে স্বাগত জানাবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।