সালমা-রুমানাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ক্রীড়া প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : প্রথমবারের মতো কোনও টুর্নামেন্টের ট্রফি জিতে ইতিহাস গড়া মহিলা ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্রিকেটারদের হাতে বিসিবি ঘোষিত টাকা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নিজেও সালমা-রুমানাদের জন্য ঘোষণা করেছেন পুরস্কার।
মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত মহিলা এশিয়া কাপে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথম হলেও নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভারতের মতো শক্তিধর দলকে হারিয়ে এশিয়ার সেরা হিসেবে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায় রুমানারা। শিরোপা জিতে দেশে ফেরার পর রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত বোর্ড সভা ও ইফতার শেষে মেয়েদের জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। বিসিবির দুই কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কারে প্রত্যেক ক্রিকেটার ব্যাক্তিগতভাবে ১০ লাখ করে পাচ্ছেন।
২০ জুন ২০১৮ (বুধবার) সন্ধ্যায় গণভবনে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা ১৬ ক্রিকেটারের প্রত্যেকের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এশিয়া কাপে ভালো পারফর্ম করায় বাড়তি অর্থ পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত রুমানারা। ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন। আমরা দারুণ খুশি। আগে ছেলেদের তিনি ডাকতেন, আমরা দেখতাম। এবার তিনি আমাদের ডাকলেন। আমাদের আদর করলেন। এটা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।’
বিসিবি ঘোষিত পুরস্কার মেয়েদের হাতে তুলে দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন আরও পুরস্কারের কথা। তবে সেই পুরস্কার এখন না দিয়ে কিছুদিন পর দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যদিও মেয়েরা কী পুরস্কার পাচ্ছেন, সেই ব্যাপারে জানা যায়নি। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সালমা খাতুন তেমনটাই জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ‘তোমাদের পুরস্কারটা বকেয়া রইলো। তোমাদের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলা শেষ হলে নারী ফুটবল দল ও তোমাদের একসঙ্গে পুরস্কার দেওয়া হবে।”
ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতা মেয়েদের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি প্রধানমন্ত্রী। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়েদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বোর্ড সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ ব্যাপারে সালমা বলেছেন, ‘আমাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের কেবল মনোযোগ দিয়ে খেলতে বলেছেন। বাকি সব চিন্তা তার। আমাদের কী লাগবে, না লাগবে- এসব তিনি দেখবেন।’