অরাজক পরিস্থিতি দেখে বলেছিলাম কোটা থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা (১৬ জুলাই ২০১৮) : কোটা আন্দোলনের পেছনে কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না কোটাপদ্ধতির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আন্দোলনের পেছনে কী যুক্তি কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের অরাজক পরিস্থিতি দেখে আমি বলেছিলাম, ঠিক আছে কোটা থাকবে না।’

১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাওয়া কার্যক্রম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী এসময় উপস্থিত ছিলেন। কক্সবাজার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিএসসির অধীনে কোনো চাকরি পেতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। পিএসসির পরীক্ষাপদ্ধতি অত্যন্ত শক্ত। এ পরীক্ষায় যারা অংশ নেয়, তারা অত্যন্ত মেধাবী। মেধা ছাড়া এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব নয়।

পিএসসির অধীনে নন-ক্যাডার চাকরি চালু করার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কেমন মেধাবী, যারা বলছেন নন-ক্যাডার চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরা মেধাবী নন। তাঁরা কীভাবে এমন নির্বোধের মতো কথা বলতে পারেন?’

কোটা আন্দোলনে সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আন্দোলনের বিষয়বস্তু বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু তিনি এটা বুঝতে পারছেন না যে কেন মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবনে হামলা হলো। তাঁর শোয়ার ঘরে ঢুকে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হলো।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্বাস করতে পারছি না এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে হামলা করতে পারে। আমার এটা ভেবে লজ্জা হচ্ছে, আর হামলাকারীরা যদি শিক্ষার্থী হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমাদের জন্য আরও লজ্জাজনক।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরোক্ষভাবে এই কোটাবিরোধী আন্দোলনের উদ্দেশ্য হলো সরকারি চাকরি থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বাইরে রাখা। দেশের সেবায় অবদান রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের জন্য এই কোটাপদ্ধতি নিশ্চিত করেছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ