ঢাবিতে শিক্ষক-ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা (১৮ জুলাই ২০১৮) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্যাম্পাসের শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদ, হামলাকারীদের শনাক্ত করে তাদের বিচার এবং কোটা আন্দোলন থেকে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
১৮ জুলাই বুধবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এই মানববন্ধন শুরু হয়। মানববন্ধনে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কেন আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি? এ প্রশ্ন আমরা দেশবাসীর কাছে জানাতে চাই। ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষার্থীদের ওপর যখন হামলা করেছিল তখন সেখানে শিক্ষকরাও দাঁড়িয়েছিল। তারা শিক্ষকদেরকও লাঞ্ছিত করেছে। হামলাকারীরা শিক্ষকদের মুখের ওপর আঙুল তুলে তাদের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছে। এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউই নিরাপদে নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজ বিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষির শিক্ষার্থী মশিউরকে কোনও অপরাধ ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছে। সে কোটা আন্দোলনে গিয়েছিল, এজন্য তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হতে পারে না। কারণ কোটা আন্দোলন তো কোনও নিষিদ্ধ আন্দোলন নয়। মশিউরের নামে কোনও অভিযোগ নেই। তাকে হল থেকে ছাত্রলীগের নেতারা তুলে নেওয়া যাওয়ার সাত দিন পর আমরা তার খোঁজ পেয়েছি। আমরা কেউই মশিউরকে ছাড়া ক্লাসে যাইনি, যাবোও না। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে শুধু তাই নয়, শিক্ষকদের নিরাপত্তাও তারা দিতে পারেনি। ’
অর্থনৈতিক বিভাগের শিক্ষক রুশাদ ফরিদী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সাড়া পেয়ে এখানে এসেছি। কারণ তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিজেদের ক্যাম্পাসে দাঁড়াতে তারা ভয় পাচ্ছে। এই ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের বলবো, ত্রাসের রাজত্ব ভেঙে দিতে হবে। আমি আশা করি তারা মাঠে নেমে ত্রাসের রাজত্ব ভেঙে দিবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ এ ঘটনায় ছাত্রলীগও কারও দ্বারা ব্যবহার হচ্ছে। তাদেরকে অন্য কেউ ব্যবহার করছে। সেই মূলহোতারা কারা, আমাদের তা খুঁজে বের করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর আমি ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ছাত্রলীগের যারা আছে তারাও আমাদের ছাত্র। গালি দিয়ে, ঘৃণা করে তাদেরকে দূরে সড়িয়ে রেখে কোনও লাভ নেই। তাদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রাখতে হবে। যদিও তারা তোমাদের (কোটা আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা) সঙ্গে অন্যায় করেছে।’