কয়লা গায়েবের সত্যতা পেয়েছে দুদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
দিনাজপুর (২৩ জুলাই ২০১৮) : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে যাওয়ার সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা।
২৩ জুলাই (সোমবার) বিকালে খনিতে প্রবেশ করে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই এবং কোল ইয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দুদক কর্মকর্তারা। সাংবাদিকদের দুদক কর্মকর্তারা জানান, খনির অনিয়মের বিষয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে তদন্ত কার্যক্রম শেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এখন অভিযোগ করছেন, বিভিন্ন উপায়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছেন কয়লা খনির কর্মকর্তারা।
কয়লার অভাবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলেও উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে তেমন বড় কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
হঠাৎ করে দেশের একমাত্র কয়লা খনি বড়পুকুরিয়ায় ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা তদন্ত করতে সোমবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে দুদকের পাঁচ সদস্যের দল খনি এলাকা পরিদর্শনে আসেন। দুদক কর্মকর্তারা কয়লা খনিতে প্রবেশ করে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও কোল ইয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন করে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বেরিয়ে আসেন। এ সময় সাংবাদিকদের তারা বলেন, ‘কয়লা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।’
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক বেনজীর আহমেদ জানান, ‘আমরা কয়লা খনির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছি, খনির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত থাকার কথা। কিন্তু কোল ইয়ার্ডে রয়েছে মাত্র ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা। বাকি ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লার কোনও হদিস নেই। বিপুল পরিমাণ কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ায় এখানে প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতির আলামত পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় দুদক অফিসে জানিয়েছি।
খনির কয়লা গায়েবের ঘটনায় ইতোমধ্যে দুজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত, এমডিকে অপসারণ এবং এক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় দুদক অফিসের কর্মকর্তারা কথা বলবেন।’ তিনি আরও জানান, সম্পূর্ণ তদন্ত শেষ করতে ৬০ দিন সময় লাগবে। কেন্দ্রীয় দুদক অফিসের তদন্ত শেষেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।