শিক্ষর্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে উত্থাল রাজধানী
বিশেষ প্রতিবেকদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা (২ আগষ্ট ২০১৮) : বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার জের ধরে নিরাপদ সড়কসহ নয় দফা দাবিতে ১ আগষ্ট রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
টানা চার দিনের ছাত্রবিক্ষোভে বড় রকমের চাপের মুখে পড়েছে সরকার। প্রতিদিন নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনে যুক্ত হওয়ায় সরকারের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। রাজধানী ঢাকা প্রায় অচল করে দেওয়া নেতৃত্বহীন এই আন্দোলন দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় সরকার আজ বৃহস্পতিবার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে।
ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের দাবিগুলো যৌক্তিক ও জনসমর্থিত হওয়ায় সরকার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারছে না। সরকারের তিন মন্ত্রী ১ আগষ্ট বুধবার আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদের আন্দোলন ও দাবিকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে সেসব মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরার আহ্বান জানান। তবে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দেয়নি। তাদের দাবি নিরাপদ সড়কের, যা দেশের প্রতিটি নাগরিকের চাওয়া। যে কারণে এই আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন অভিভাবকদের অনেকেই। রোদ-বৃষ্টিতে যানবাহন ছাড়া কষ্ট স্বীকার করে চলাচল করলেও শিক্ষার্থীদের দিকে পথচারীদের সদয় দৃষ্টি ও সহানুভূতি লক্ষ করা গেছে।
ছাত্র আন্দোলনে জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়ে চললেও ধৈর্যধারণই সরকারের সামনে একমাত্র বিকল্প। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র ও শ্রমিকেরা যাতে মুখোমুখি না হয়, সে জন্য সরকার নানা চেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও ঢাকায় শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমেছেন। সরকার আশঙ্কা করছে, পরিবহনশ্রমিক ও মালিকেরা ধর্মঘটে গেলে জনজীবন বিপর্যস্ত হতে পারে।
এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাটবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সামলাতে সরকারকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। কোটা আন্দোলনের রেশ এখনো কাটেনি।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চলমান ছাত্র আন্দোলন নিয়ে সরকারের বড় ভয়, এর সঙ্গে অন্য কোনো গোষ্ঠী জড়িত হয়ে যায় কি না। আন্দোলন অব্যাহত থাকলে পণ্য সরবরাহব্যবস্থাও ভেঙে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।