শিক্ষার্থীরা দেখিয়ে দিল ট্রাফিকের কাজ কি?
বিশেষ প্রতিবেকদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা (২ আগষ্ট ২০১৮) : ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন চালকদের অনেকেরই লাইসেন্স নেই, থাকলেও সেই লাইসেন্স সঠিক প্রক্রিয়া মেনে নেওয়া হয়নি। আবার অনেকের লাইসেন্স ভুয়া। ফলে ঢাকার রাজপথে কিশোর শিক্ষার্থীরা গণপরিবহন থামিয়ে ড্রাইভারদের লাইসেন্স চেক করার যে দুঃসাহসী কাজটি করল, তাতে বরং রাষ্ট্রযন্ত্রেরই লজ্জিত হওয়ার কথা। কারণ এই কাজটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নয়, বরং করার কথা ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান যে ঠিকভাবে কাজ করে না, তা এই খুদে শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
আমাদের অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এখন সবকিছুতেই খোদ প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। উচ্চ আদালতকে ভূমিকা রাখতে হয়। কখনো স্বপ্রণোদিত রুল, কখনো রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদেশ। ফুটপাতে মোটরসাইকেল চলবে কি চলবে না—এ রকম একটি অতি সাধারণ বিষয়েও হাইকোর্টকে রুল দিতে হয়।
সবশেষ রাজধানীতে বাসচাপায় দুজন শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুর বিষয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতা ও নৌমন্ত্রীর দায়িত্বহীন বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হলে, তার ক্ষমা চাওয়া এবং পদত্যাগের দাবি উঠলে সেখানেও প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। গণমাধ্যমের খবর বলছে, এই ইস্যুতে নৌমন্ত্রীর ওপর প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। পরে খবরে দেখা গেল, নৌমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ক্লাসরুম ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে এবং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তারা এক অভিনব কাজ শুরু করে। তা হলো—তারা গণপরিবহন থামিকে ড্রাইভারদের লাইসেন্স চেক করে এবং যাদের লাইসেন্স ছিল, সেই গাড়িগুলো তারা ছেড়ে দেয়। কিন্তু যেসব বাসের চালকের লাইসেন্স পায়নি, সেগুলো ভাংচুর করে। অথচ চালকের লাইসেন্স এবং গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিআরটিএ এবং পুলিশের। তারা কি সেই কাজটি সঠিকভাবে করছে?