এবার নিজ দলের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে লাঞ্চিত করলো ছাত্রলীগ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা (১৫ আগস্ট ২০১৮) : এবার নিজ দলের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে লাঞ্চিত করলো ছাত্রলীগ। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৪ আগস্ট মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ঢাবি ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাবি প্রতিনিধি জানান, জাতির জনকের মৃত্যুবার্ষিকীর শোক দিবসের আলোচনা শেষে কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারী দুই কর্মীকে মারধর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস। এ সময় সঞ্জিত ও তার অনুসারীরা সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকেও লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘ওটা মনোমালিন্য ছিল হালকা। পরে ঠিক হয়ে গেছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠানের অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যকে (প্রশাসন) এগিয়ে দিতে টিএসসি মিলনায়তন থেকে বের হন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন। এ সময় তিন নেতার সঙ্গে তাদের অনুসারীরাও ছিলেন। একই সময়ে সঞ্জিত টিএসসি মিলনায়তনের ভিতরে ছিলেন। সঞ্জিত একটু বিলম্বে বের হওয়ায় অতিথিদের পাশে তিন নেতা ও তাদের অনুসারীদের ভিড় লেগে যায়।
এ সময় সামনে আগাতে চাইলেও অন্য তিন নেতার অনুসারীদের কারণে সামনে আসতে পারছিলেন না। তাই তিনি কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে এগুতে চান। একপর্যায়ে টিএসসি গেটের সামনে একুশে হলের এক কর্মীকে থাপড়ান সঞ্জিত।
অতিথিরা বিদায় নেয়ার পর টিএসসির পায়রা চত্বরে কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনকে উদ্দেশ্য করে সঞ্জিত বলেন, ‘আপনার ছেলেদের কোন ম্যানার শেখান নাই? তারা আমাকে বের হওয়ার জায়গা দেয় নাই কেন?’ এ সময় সূর্যসেন হলের আসলাম নামে শোভনের অনুসারী এক নেতা সঞ্জিতকে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘কী ম্যানার শেখাতে হবে?’ তখন সঞ্জিত আসলামের মুখে চড়-থাপ্পড় বসিয়ে দেন। এ ঘটনার পর উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিত করা হয় কেন্দ্রীয় সভাপতিকে। দীর্ঘ ১৫ মিনিট হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শেষে পরিস্থিতি শান্ত হয়।