পরিবেশ আইন ভঙ্গ, ট্রাম্প টাওয়ারের বিরুদ্ধে মামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা (১৫ আগস্ট ২০১৮) : পরিবেশ আইন ভাঙার দায়ে শিকাগোর ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ইলিনয়ের অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মাডিগান। তার দাবি, প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি শিকাগো নদী থেকে লাখ লাখ গ্যালন পানি টেনে নিচ্ছে ও ব্যবহারের পর ছেড়ে দিচ্ছে। এতে নদীর মাছের ওপর কী প্রভাব পড়বে তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেনি প্রতিষ্ঠানটি। তবে ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠানের দাবি, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতাগ্রহণের পর তার ব্যবসার ভার দুই ছেলের হাতে ছেড়ে দেন। তবে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সব শেয়ার এখনও বজায় রয়েছে। বর্তমানে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলসহ বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাকে কেন্দ্র করে জটিলতার মধ্যে আছেন ট্রাম্প। জুনে ওয়াশিংটন ডিসির ধর্মীয় নেতা ও বিচারকদের একটি দল শহরের অ্যালকোহলিক বেভারেজ কন্ট্রোল বোর্ড বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, ট্রাম্পের ‘বাজে আচরণের’ জন্য তার হোটেলের মদের লাইসেন্স বাতিল করা উচিত। স্থানীয় আইন অনুযায়ী, শুধু ‘ভালো চরিত্রের’ মানুষেরাই মদের লাইসেন্স পেতে পারে।
এবার নতুন করে মামলার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) কুক কাউন্টি সার্কিট কোর্টে ট্রাম্প হোটেল অ্যান্ড টাওয়ারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ইলিনয়ের অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মাডিগান। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ট্রাম্প হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের এয়ার কন্ডিশনিং ও ভেন্টিলেশন ব্যবস্থার জন্য প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি গ্যালন (সাড়ে সাত কোটি লিটার) পানি টেনে নেয়। এ ব্যবস্থার কারণে নদীর মাছের কোনও ক্ষতি হচ্ছে কিনা তা যাচাই করার জন্য ফেডারেল আইনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক বিবৃতিতে মাডিগান বলেন ‘ট্রাম্প টাওয়ার অনুমতি ছাড়াই শিকাগো নদী থেকে লাখ লাখ গ্যালন পানি টেনে নিচ্ছে এবং এর কারণে নদীর বাস্তুসংস্থান প্রক্রিয়ায় কী প্রভাব পড়ছে তাও নিরূপণ করছে না তারা। ট্রাম্প টাওয়ার যেন আইন ভঙ্গ করে অনবরত এ কাজ চালিয়ে না যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে আমি মামলাটি দায়ের করেছি।’ মাডিগান একজন ডেমোক্র্যাটিক দলীয় নেতা এবং ২০০৩ সাল থেকে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন।
ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র জ্যানেট ইসাবেলি এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ম্যাডিসন মামলা দায়ের করায় ট্রাম্প অর্গানাইজেশন হতাশ। এ ধরনের বিষয়গুলো সাধারণত প্রশাসনিক পর্যায় থেকে সামলানো হয়ে থাকে।