জুবায়ের হত্যায় ১৩ ছাত্রলীগ কর্মী অভিযুক্ত
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যাকাণ্ডের প্রায় দেড় বছর পর ১৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক রোববার শুনানি শেষে আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর দিন রেখেছেন তিনি।
ইংরেজি বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি খুন হন। তিনি নিজেও ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার নিবন্ধক হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ৩৭তম ব্যাচের ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে ঢাকার হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হলেন মীর শাহীন শাহ পারভেজ। অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে এসে গত ১৩ অগাস্ট মামলাটি ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ পাঠানো হয়।
রোববার অভিযোগ গঠনের নির্ধারিত দিনে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামিদের অভিযোগ পরে শোনান এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলী এফ এম রফিকুল ইসলাম। আসামিদের সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।১৩ আসামির সবাই বর্তমানে উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন।
শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রাখেন বিচারক।
আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুণ্ডু অফি, প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রিয়াজ ও জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ, ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ ও রাশেদুল ইসলাম রাজু, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম, ইতিহাস বিভাগের মাহমুদুল হাসান ও মাজহারুল ইসলাম, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের নাজমুস সাকিব তপু এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের নাজমুল হাসান প্লাবন।
এর মধ্যে মাহবুব আকরাম ও নাজমুস সাকিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় জুবায়ের নিহত হওয়ার পর ছাত্র-শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করেন। তাদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে পদত্যাগ করতে হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সময়ের উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির।