আবারও চলন্ত বাস থেকে ফেলে যাত্রী হত্যা চট্টগ্রামে
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
চট্টগ্রাম (২৬ আগস্ট ২০১৮) : আবারও চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে এক যাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে হেলপারের বিরুদ্ধে। ২৭ আগস্ট চট্টগ্রামের এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ কওে দিয়েছিল। নিহত যাত্রীর নাম রেজাউল করিম (৩৫)। নগরের সিটি গেট এলাকার কালিরহাটের বাসিন্দা মো. ওয়ালি উল্লাহর ছেলে তিনি। বাড়ির কাছে এসে তাকে বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলে প্রতক্ষ্যদর্শীরা ও স্বজনরা জানান।
বাসে থাকা সাইফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী এবিসিনিউজবিডিকে বলেন, ‘আমি পেছনের আসনে ছিলাম। কী নিয়ে জানি হেলপারের সঙ্গে একজনের ঝগড়া হচ্ছিল। গ্ল্যাক্সোর সামনে আসার পর কয়েকজন যাত্রী চিৎকার করে গাড়ি থামাতে বলেন। তাঁরা বলেন, লোকটি মরে গেল তো! গাড়ি থামান। কিন্তু বাসটি দুরন্তগতিতে ছুটছিল। একটু পর গাড়ি থামিয়ে পালিয়ে যান চালক ও সহকারী। ততক্ষণে সব শেষ।’
প্রত্যক্ষদর্শী আর এক যাত্রী জানান, চালক ও হেলপারকে ধরতে তারা কয়েকজন পেছনে পেছনে অনেকটা পথ দৌড়েও তাদের ধরতে পারেননি।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিটি গেট এলাকার কাছে গ্ল্যাক্সো কার্যালয়ের সামনে গতকাল সোমবার বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঘটনাটি ঘটে। বাসে হেলপারের সঙ্গে ঝগড়ার বিষয়টি ফেলে দেওয়ার ৫ মিনিট আগে মুঠোফোনে জিল্লুর রহমান নামে এক প্রতিবেশীকে জানিয়েছিলেন রেজাউল।
ধাক্কা দেওয়ার পর যাত্রীদের চাপে কিছু দূর গিয়ে রাস্তায় বাসটি রেখে পালিয়ে যান চালক ও সহকারী। এ ঘটনার প্রতিবাদে সিটি গেট এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় দেড় ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে।
শহর এলাকার এই বাসগুলো সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী থেকে নগরের জিইসি পর্যন্ত চলাচল করে। বেশির ভাগ বাসের মধ্যে কোনো পরিবহনের নাম লেখা থাকে না। শুধু ৪ নম্বর লেখা থাকে। তবে এই বাসটির গায়ে লুসাই পরিবহন লিমিটেড লেখা ছিল। নম্বর হচ্ছে চট্ট মেট্রো-জ-১১-১৮০৩।