পাবনায় নারী সাংবাদিক হত্যা, নিরাপত্তা চেয়েও পেলেন না
বিশেষ প্রতিবেদক (ঢাকা) ও জেলা প্রতিবেদক (পাবনা), এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা (২৮ আগস্ট ২০১৮) : রাজধানী ঢাকা ও পাবনায় সংবাদ সম্মেলন করে সাবেক স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পেতে রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন নারী সাংবাদি সুবর্না নদী। রাষ্ট্র কতটুকু তার নিরাপত্তা দিয়েছে তা এখন দৃশ্যমান। ২৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত পৌনে এগারোটার দিকে পাবনা শহরের রাধানগর মজুমদারপাড়া এলাকায় নিজ বাসায় একদল সন্ত্রাসী সুবর্না নদীকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করে। নদী বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘আনন্দ টিভি’র পাবনা জেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় অনলাইন পত্রিকা দৈনিক জাগ্রত বাংলার প্রকাশক ও সম্পাদক ছিলেন।
সুবর্না নদী তার শিল্পপতি স্বামী রাজিব হোসেনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছিলেন। আদালতে চলমান এই মামলা তুলে নিতে তার স্বামী হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই প্রতিবাদে সুবর্না নদী পাবনার পর ঢাকায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে সরকারের কাছে তার নিরাপত্তার দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।
বর্তমান সরকারের দশ বছরে সাংবাদিক খুনের এটি ৩৩তম ঘটনা। এর আগে সাগর-রুণীসহ ৩২জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন।
পাবনা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাবনা পৌর সদরের রাধানগর মহল্লায় আলীয়া মাদ্রাসার পশ্চিম পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন তিনি। বাসার কলিংবেল টিপে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে ডেকে বের করে। সুবর্না নদী গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে তাকে অতর্কিতভাবে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
তিনি আরও বলেন, পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরে মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক কাজী বাবলা বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাদের জানিয়েছেন, ১০/১২ জন সন্ত্রাসী কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে এসে তাকে কুপিয়ে তারা দ্রুত বেগে চলে যায়। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’