কাউন্সিলরের বাড়িতে আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর মুক্তিপণ আদায়

জেলা প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
পাবনা (২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮) : পাবনার সুজানগর পৌরসভার কাউন্সিলর সাহেব আলীর বাড়িতে আটকে রেখে এক স্কুলছাত্রীকে উপর্যপুরি ধর্ষণের পর ধর্ষিতার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপন আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ ৩ জনকে আটক করলেও ধর্ষণের ঘটনার মূল নায়ক কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

সুজানগর থানার ওসি শরিফুল আলম বলেন, ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে অভিযোগ পাওয়ার পর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেব আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুঁজছেন তারা।

পৌর আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক নায়েব আলীর ছোট ভাই সাহের আলী তার বাড়িতে ওই কিশোরীকে নেওয়া হয়েছিল স্বীকার করলেও ধর্ষণ বা মুক্তিপণ আদায়ের কথা ‘জানেন না’ বলে দাবি করেছেন।

স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, ভবানীপুর এলাকার সজীব নামের এক তরুণের সঙ্গে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যায় পরিবারকে না জানিয়ে সজীবের সঙ্গে বেরিয়ে যায় তার মেয়ে।

“তাদের বিয়ে করতে সহযোগিতা করার কথা বলে ভবানীপুর এলাকার আনাই তাদের নিয়ে যায় কাউন্সিলর সাহেব আলীর বাড়িতে। সেখানে নিয়ে আমার মেয়ের কাছ থেকে টাকাপয়সা আর সোনার গয়না কেড়ে নেওয়া হয়। পরে সাতজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।”

মেয়েটির মা বলছেন, ‘আমার মেয়ে তাদের নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে ২০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বাসায় খবর দিয়ে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন কাউন্সিলর সাহেব আলী নিজেই। আমি বাড়ির আসবাবপত্র বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা সাহেব আলীকে দিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।’

স্থানীয়রা জানান, ভবানীপুর এলাকার জয়নাল খানের ছেলে আনাই কাউন্সিলর সাহেব আলীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

ওসি শরিফুল বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আট্ক করার পাশাপাশি অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। কাউন্সিলর সাহেব আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোঁজা হচ্ছে। মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ