‘পরবর্তী মন্ত্রিসভায় উঠছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮) : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি বলে জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। এসব ধারার বিষয়ে আলোচনার জন্য আবারও মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে সরকারের তিন মন্ত্রী ও এক উপদেষ্টার বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর রোববার বৈঠকে আইনমন্ত্রী ছাড়াও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব আবুয়াল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের নেতৃত্বে সম্পাদকদের মধ্যে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, যুগান্তর-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক এম শামসুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সম্পাদক নঈম নিজাম, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, সমকাল-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ এবং ৫৩ এ ৯টি ধারার বিষয়ে মূলত আজকের আলোচনায় উঠে এসেছে। অন্যান্য ধারার বিষয়ে কারও বক্তব্য নেই। সে ক্ষেত্রে যেহেতু আইনটি ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে পাস হয়ে গেছে। তবে এখনও রাষ্ট্রপতি আইনটিতে স্বাক্ষর করেননি। এরপর খবরের কাগজে এ আইনের বিষয়ে আপত্তি তুলে ধরেছে সম্পাদক পরিষদ। আজকের বৈঠকে ২১ ধারাটা যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকি আটটি ধারার ব্যাপারে আমিসহ তথ্যমন্ত্রী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করবো।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক রয়েছে। কিন্তু জানতে পেরেছি ওই বৈঠকে অনেক এজেন্ডা রয়েছে। তাই হইতো সেদিন এটা উপস্থাপন করা সম্ভব হবে না। কিন্তু তার পরে যে সভা হবে সেখানে এ বিষয়টি উপস্থান করব। সেখানে আলোচনার জন্য আমাদের যে ট্রামস অব রেফারেন্স দেয়া হবে। সে ট্রামস অব রেফারেন্সের আলোকে আবার আলোচনায় বসা হবে। সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে কয়েকবার আলোচনায় বসতে হতে পারে।’