ঢাকায় ৩৩ থানায় ১৯০ জন গ্রেপ্তার, রিমান্ডে ১৩৪ জন
মনির হোসেন মিন্টু, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা (১ অক্টোবর ২০১৮) : বিএনপির রোববারের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঢাকার ৩৩টি থানায় ৪২টি মামলায় ১৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে
আসামির কাঠগড়ায় ডালিমকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন রোকেয়া বেগম। ডালিম সম্পর্কে রোকেয়ার নাতি। রোকেয়ার দাবি, ডালিম (২৩) কেরানীগঞ্জের একটি গ্রিলের কারখানায় কাজ করেন। বন্ধুদের সঙ্গে ৩০ সেপ্টেম্বর রোববার গুলিস্তানে এলে সেখান থেকে তাঁকেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ওয়ারী থানা-পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির রোববারের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের কাজে বাধা ও নাশকতার অভিযোগে ঢাকার ৩৩ থানায় ৪২ মামলায় ১৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে সোমবার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ঢাকার আদালত ডালিমকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। ডালিমের রিমান্ডে নেওয়ার খবর শুনে দাদি রোকেয়া বলেন, ডালিমের নামে আগে কোথাও মামলা নেই। রাজনীতিও করেন না। তাঁর বাবা সেলিম মিয়া নৌকা চালিয়ে সংসার চালায়। রোকেয়া ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, এখন ডালিমের মামলার খরচ চালাবে কে?
ডালিমের বন্ধু অনিক। তাঁর বাড়িও কেরানীগঞ্জ। অনিকের আইনজীবী হাবিবুর রহমান আদালতে দাবি করেন, রোববার সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপির সমাবেশ ছিল। ঢাকার কোথাও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে—এমন কোনো খবর টেলিভিশন কিংবা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি। তাঁর মক্কেল অনিককে গুলিস্তান থেকে ধরে নিয়ে বলছে, ওয়ারীর জয়কালী মন্দির এলাকায় অনিক নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন।
কোন থানায় কত জন গ্রেপ্তার:
মতিঝিল থানায় ১৭ জন, ওয়ারী থানায় ১৩ জন, পল্টন ১৪ জন, শাহজাহানপুর ১১ জন, সবুজবাগ থানায় ৯ জন, রামপুরা থানায় ৮ জন, কদমতলী থানায় ৮ জন, খিলগাঁও থানায় ৮ জন, মুগদা থানায় ৮ জন, যাত্রাবাড়ী থানায় ৪ জন, শ্যামপুর থানায় ২ জন, গুলশান, খিলক্ষেত থানায় ১ জন, উত্তরা পশ্চিম থানায় ১ জন, নিউমার্কেট থানায় ৫ জন, কলাবাগান থানায় ৪ জন, দারুস সালাম থানায় ২ জন, হাজারীবাগ থানায় ৭ জন, ধানমন্ডি থানায় ১ জন, রমনা থানায় ১০ জন, শাহবাগ থানায় ৬ জন, বাড্ডা থানায় ৬ জন, বনানী থানায় ২ জন, ভাটারা থানায় ২ জন, তেজগাঁও থানায় ৪ জন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ৫ জন, হাতিরঝিল থানায় ৭ জন, কোতোয়ালি থানায় ৩ জন, পল্লবী থানায় ৩ জন, মোহাম্মদপুর থানায় ৩ জন, চকবাজার থানায় ৬ জন, কামরাঙ্গীরচর থানায় ৪ জন এবং সাভার থানায় ৯ জন।