কোথাও নেই রাজনীতির মাঠ কাাঁপানো মায়া
আনোয়ার আজমী, বিশেষ প্রতিবেদক : রাজনৈতিক পথ চলায় হঠাৎ যেন ছন্দপতন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের রাজপথ কাঁপানো এ নেতা অনেকটা অভিমানেই নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন। কোথাও দেখা মিলছে না তার। দলের কেন্দ্রীয় বা সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে যাচ্ছেন না তিনি। মিন্টু রোডের সরকারী যে বাসভবনে মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে উঠেছিলেন, তাও ছেড়ে দিয়েছেন আগে-ভাগেই। তার পদচারণায় মুখর ছিল ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় (বর্তমান উত্তর-দক্ষিণ) সেখানেও এখন পড়ছে না তার পদধুলি।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পেয়েছিলেন মহাজোট সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জমা দিয়েছিলেন মনোনয়ন। ২৫ নভেম্বর চিঠি পেয়েও চুড়ান্ত তালিকায় তার স্থান হয়নি। মূলতঃ মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার মনকষ্টে নিজেকে একটু আড়াল করে নিয়েছেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেও এমনটিই জানা গেছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানে বীর বিক্রম উপাধীতে ভুষিত হয়েছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। রাজনীতিতেও অনেক সাফ্যল্য আছে তার। আছে ব্যর্থতাও। সুনাম-দূর্ণাম সব নিয়েই এগিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে- মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় রাজপথ কাঁপানো প্রবীন এই রাজনীতিকের পথচলায় কী স্থবিরতা নেমে এসেছে, অবসর নেবেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে? এসব প্রশ্নের এখন ডালপালা মেলতে শুরু করেছে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় সদস্য মোফাজ্জল হোসেন হোসেন চৌধুরী মায়া চুড়াšন্ত মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর নিজেকে একটু আড়াল করে নিয়েছেন। একান্ত কাছের নেতা-কর্মীরাও তার সান্নিধ্য পাচ্ছেন না। পাচ্ছেন না গণমাধ্যম কর্মীরাও। ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটিও রয়েছে বন্ধ।