সময় পেলেই বই পড়ার আহ্বান -সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী’র
সাইফুর রহমানঃ
মানুষের সৃজনশীলতা ও প্রতিভাকে জাগ্রত করতে সময় পেলে বই পড়তে হবে। কারন, বই শুধু মানুষের জ্ঞানার্জনের বাহনই নয়, বরং এটি আলোকিত নতুন প্রজন্ম গড়ার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাই সবাইকে গ্রন্থাগারমুখী হতে আহবান জানিয়েছেন, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান মিলনায়তনে জাতীয় গণগ্রন্থাগার দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি এর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান। প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকার সারাদেশের উন্নয়ন তথা পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। এ উন্নয়ন তথা পরিবর্তন এক জায়গায় মিলিত হয়ে আমাদের (বাঙালির) আত্মপরিচয়ের বিকাশ ঘটাবে। সেজন্য দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রয়োজন সংস্কৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়ন।
বইকে সংস্কৃতির আধার উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, গ্রন্থাগারের উন্নয়নে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের চারটি প্রকল্প চলমান রয়েছে যেগুলোর কাজ ২০২০ সাল নাগাদ শেষ হবে। তাছাড়া গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের তিনটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ।
স্বাগত বক্তৃতা করেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এর আগে আজ সকালে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালী গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর চত্বর থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ও শাহবাগ মোড় ঘুরে এসে পুনরায় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর চত্বরে এসে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব (প্রধান অতিথি) দেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো: আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকারসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওগণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি এণ্ড ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গ্রন্থাগারের প্রতিনিধিবৃন্দ এতে অংশগ্রহণ করেন।