বাংলাদেশে ১০ বছর পর ফাস্ট সিমকী কন্যা তনিমা
প্রতিবেদক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দীর্ঘ ১০ বছর পর বাংলাদেশে এলএলবিতে, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের বাংলাদেশ শাখায় ফাইনাল পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান এর মেয়ে তাহসিন কামাল তনিমা।
এমন প্রাপ্তি ২০০৭ সালে একজন ছেলে আইন বিষয়ে ফার্স্টক্লাস পেয়েছিলেন। বলে জানা গেছে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন এলসিএলস(এস) বাংলাদেশ শাখার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। কিন্তু মেয়ে হিসেবে তনিমার এমন কৃতিত্বই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। এজন্য যুক্তরাজ্য ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামের ডিরেক্টর সাইমন অ্যাসকি বাংলাদেশে এসে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানান।
তার এ কৃতিত্বের জন্য ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন কর্তৃপক্ষের পক্ষে সিমন আসকি গতকাল বাংলাদেশে এসে তনিমাকে তার নিজ বাড়িতে অভিনন্দন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, তাহসিন কামাল তনিমা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান এবং পিডব্লিউডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কামাল পাশার তৃতীয় কন্যা। তনিমা বার-এট-ল ডিগ্রি অর্জনের জন্য পুনরায় যুক্তরাজ্যে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
তনিমার ছোটবেলা থেকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও শেষমেশ মায়ের পথে হাঁটা।
এবিষয়ে সিমকি ইমাম খান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, নিজের ব্যস্ততাকে পাশ কাটিয়ে সন্তানের আদর ভালোবাসা সবচেয়ে আগে। তিনি বলেন, ‘কখনো আমার মেয়েদের পড়াশোনার জন্য চাপ দেইনি। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে দিতাম। তারা যেন নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে শিখে যায়। আমার কাছে ক্লাসে ভালো ফল করায় বড় কথা না। একজন ভালো মানুষ হয়ে বেড়ে ওঠা, দেশের মানুষের জন্য কিছু করার মানসিকতা তৈরি হওয়াটা বড়। ব্যারিস্টারি শেষ করে সে দেশের মানুষের জন্য কিছু করুক— এটাই চাই’।
এদিকে মায়ের প্রত্যাশা পূরন তনিমার কাছে কঠিন কিনা জানতে চাইলে তনিমা বলেন, আসলে আমার কাছে তেমন কিছু মনেই হয় না। আমি আমার দেশকে অনেক ভালোবাসি। বাইরের দেশের প্রতি খুব বেশি আগ্রহ অনুভব করি না। পরিবার থেকেই যেহেতু শিক্ষা ছিল, আর এখন আমি নিজেই দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করি। আমি চাই, আমার মতো তরুণরা দেশের জন্য ভালোবাসাটা অনুভব করুক। তারাও চেষ্টা করুক দেশের জন্য নতুন কিছু করার।
‘পরীক্ষার ফলাফল পেলাম মাত্র। দেশে এক বছর ইন্টার্ন করব। এরপর বার-এট-ল ডিগ্রি অর্জনের জন্য যুক্তরাজ্যে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। ডিগ্রি অর্জন শেষে দেশে ফিরে আমি আমার পেশায় পুরোপুরি নিয়োজিত হওয়ার আশা রাখছি। নিজের কাজের পাশাপাশি ভবিষ্যতে যত ধরনের সেবামূলক কাজে নিজেকে যুক্ত করা যায় তার প্রতি কার্পণ্য থাকবে না। আমার ভালোটা দেশকে দিতে চাই।’ এমনটাই প্রকাশ করলেন তাহসিন কামাল তনিমা।