রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী ঘরের তাগিদ, বাংলাদেশের না!
সাইফুর রহমান: রোহিঙ্গাদের বসবাসের ঘর বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাদের জন্য স্থায়ী কাঠামোর শক্ত ঘর নির্মানের তাগিদ আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএম-এর, তাদের দাবী প্রত্যাখান করে ,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোহাম্মদ এনামুর রহমান বলেন রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা যা করেছি, তা সবই অস্থায়ী ভিত্তিতে করা হয়েছে। আমরা তাদের স্থায়ীভাবে আমাদের দেশে রাখতে পারব না।
১৮ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বিকালে সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএম-এর সাথে বৈঠক শেষে, গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
এর আগে মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।
এনামুর রহমান বলেন, বৈঠকে আমরা তাদের জানিয়েছি, বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা টেকনাফ এলাকায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে আমাদের সমস্ত বন উজার করেছে। এখন সেখানে ঘাসও খুঁজে পাওয়া যায় না।
এ বিষয়েটি উল্লেখ করার পর আইওএম প্রতিনিধিরা আমাদের বলেছেন, তারা শিগগিরই এক লাখ রোহিঙ্গা পরিবারের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য এক লাখ বোতল গ্যাস সরবরাহ করবে। এর রিফিল গ্যাসও তারা দেবে। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় বৃক্ষ রোপনেও তারা সহযোগিতার কথা জানিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, আইওএম প্রতিনিধিরা আমাদের জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তারা জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনা করেছেন মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তারা মিয়ানমার সরকারকে তাগিদ দিয়েছেন।
বৈঠকের বিষয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামনে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম। এ সময় আমাদের দেশে সাইক্লোন হয়। আইওএম প্রতিনিধিরা মূলত এসেছিলেন এ সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা করতে। সাইক্লোন থেকে রক্ষা পেতে রোহিঙ্গাদের জন্য কতগুলো সাইক্লোন শেল্টার আছে, তা আরও বাড়ানো যায় কি না? আমরা তাদের জানিয়েছি, রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা ৪২৩টি সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করছি।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) পরিচালক অপারেশন্স মোহাম্মেদ আবধিকের মোহামুদ, এশিয়া প্যাসিফিকের রিজিওনাল পরিচালক ডা. মারিয়া নিনিত্তি এ মোটুস এবং বাংলাদেশ মিশন প্রধান জিওরগে জিগাউরাই উপস্থিত ছিলেন।