কুয়েতের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ
সাইফুর রহমান, মুসলিম বিশ্ব সহ আঞ্চলিক শান্তি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশিদের প্রতি উদারতা ও মহত্ত্ব প্রদর্শনের জন্য কুয়েত আমিরের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ।
২০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সন্ধ্যায় কুয়েতের ৫৮তম জাতীয় দিবস ও ২৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
ঢাকায় নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ হায়াৎ কর্তৃক হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদিয়ে ভূমিমন্ত্রী স্মরণ করেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং কুয়েতের তৎকালীন আমিরের কথা – যখন বাংলাদেশ এবং কুয়েতের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, কুয়েতের আমিরের নেতৃত্বে বিভিন্ন সেক্টরে দেশটি যেভাবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছে তাতে বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকার অভিভূত।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানবিক সমস্যা মোকাবেলায় কুয়েতের অবদানের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত আরও মজবুত হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন দীর্ঘদিন যাবত আমরা মানব সম্পদ, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করছি। জ্বালানি, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বিজ্ঞান সেক্টরেও আমরা পারস্পরিক সহযোগিতায় কাজ করে আমাদের সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত করতে পারব।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমাদের বেসরকারি পর্যায়ে একসাথে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের সামর্থ্যর সর্বোচ্চটুকু অর্জন করতে পারব।
মন্ত্রী কুয়েতের নাগরিকদের মঙ্গল এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন যে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে। মন্ত্রী কুয়েতের রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা এবং অনাবাসী কুয়েতি নাগরিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।
উল্লেখ্য, কুয়েত পুনর্গঠনে ২৬ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ‘অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠন’ নামের দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ২৬ বছর ধরে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।এছাড়া, বাংলাসেনাবাহিনী ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কুয়েতের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও বাংলাদেশের অনেক বেসামরিক নাগরিক দীর্ঘদিন যাবৎ কুয়েতে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত আছে। অন্যদিকে কুয়েত বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী।
বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক খাতে কুয়েত প্রতিবছর বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকে। দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক খুবই চমৎকার।