ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে
সাইফুর রহমান, ত্রাণ ও দুযোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মোঃ এনামুর রহমান ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিট পরিদর্শন শেষে তাক্ষনিক ভাবে ৩০ লক্ষ টাকা চিকিৎসার জন্য প্রদান করেন ঢাকা জেলা প্রশাসকের হাতে।
২১ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকালে হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে হাতপাতাল কতৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষনিক সমন্বয় করার জন্য ইফতেখার উদ্দিন নামের একজন পরিচালককেও দায়িত্ব দেওয়ার সময় একথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
এরপরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল এর রুমে প্রতিমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম, জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মাদ ফেরদোউস খান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডাঃ খান আবুল কালাম আজাদ সহ ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোত্তম সেবা প্রদানের লক্ষে একটি সমন্বয় বৈঠক করেন।
অতপর চকবাজার ঘটনাস্থাল পরির্দশন শেষে মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেলে মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম এম পি, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ কামাল, অতিরিক্ত সচিবগন সহ ডেপুটি সেক্রেটারীদের সাথে সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলছেন প্রতিমন্ত্রী।
২ঃ৩০ এ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভায় সংসদীয় কমিটির সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করে, ৬ টি কমিটি গঠন করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
ঢাকা জেলা প্রশাসকের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ডেড বডি ম্যানেজমেন্ট এর জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটি করেছে।
ডাইরেক্টার (পরিকল্পনা) কামরুল হাসানকে প্রধান করে অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত সচিব ফায়জুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব উপল কুমার , ডাইরেক্টার জাহিদুল ইসলাম এর সমন্বয়ে । এদের কাজ হবে যতগুল ডেড বডি শনাক্ত করা হয়েছে তাদের কে উপযুক্ত কতৃপক্ষের কাছে দাপন এবং যাতায়েত খরচসহ বুঝিয়ে দেওয়া ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ডাঃ সামন্ত লাল সেনের সাথে সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন কে প্রধান করে আরেকটি কমিটি করা হয়েছে। যার অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ডাইরেক্টার ইফতেখার হোসেন, ডায়রেক্টার আবু বকর, আরিফ পিআইও তেজগাঁও, রাসেদা বেগম , মোমেনা বেগম, ডিডিএম নুরুননাহার এবং শায়লা আক্তার । এ কমিটির প্রধান কাজ, রুগি যাতে কোন প্রকার হয়রানীর স্বীকার না হয়ে সঠিক সেবা পায়।
চকবাজার অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থালে কেউ মিসিং আছে কিনা। মাইকিং করে সঠিক তথ্য নিরুপনের জন্য গঠিত এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত সচিব হারুন রসিদ মোল্লাকে।
এ কমিটিতে আরো আছেন , যুগ্নসচিব রেজোয়ান হায়াত, যুগ্নসচিব তাহমিনা হাসনাত খান, ডিপুটি সেক্রেটারি মনির হোসেন , ডিপুটি সেক্রেটারি শাকের আহমদ খান, ডাইরেক্টার আনিসুর রহমান ও গিয়াস উদ্দিন সহ পিএমও অফিস থেকেও একজনকে রাখা হচ্ছে।
চকবাজারের এ কমিটির অন্যতম কাজ হবে, কি কি কারনে অগ্নিকান্ডটি ঘটেছে । কোন কোন পদক্ষেপ নিলে এ ধরনের ঘটনা থেকে ভবিস্যাতে রক্ষা পাওয়া জেতে পারে । সেগুলোর বিস্তারিত রিপোর্ট মন্ত্রনালয়কে প্রদান করা ।
এছাড়াও এ কমিটির আরেক গুরুত্বপুর্ন কাজ হচ্ছে আগামী রবিবার বিকাল তিনটায় আন্তমন্ত্রনালয় মিটিং এর ব্যবস্থা করা।