মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন চবির ৭ শিক্ষার্থী
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, চট্টগ্রামঃ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্দোলন না করার বিষয়ে মুচলেকা দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত ভর্তি ফি বিরোধী ধর্মঘটে আটক সাত শিক্ষার্থী।
ছাড়া পাওয়া সাত শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল সামির, ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি প্রবাল মজুমদার, ইউনিয়নের কলা অনুষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া খন্দকার, ফ্রন্টের ফজলে রাব্বী, তোয়াই মারমা, ফজল হাবীব, মিলন, ছাত্র ফেডারেশনের আনোয়ার ছাদেত জুনায়েদ ও বিপুল হোসেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় মুচলেকা দেয়ার পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে এবিসি নিউজ বিডিকে জানান চট্টগ্রাম জিআরপি থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক।
তিনি বলেন, “বর্ধিত ভর্তি আবেদন ফি নিয়ে আর কোনো আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবে না এই মর্মে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য়ের প্রতিনিধি তিন প্রক্টরের কাছে মুচলেকা দেয়।”
‘পাশাপাশি রেলওয়ে নিরাপত্তা রক্ষী আহত হওয়ার বিষয়ে লিখিতভাবে ছাত্ররা দুঃখ প্রকাশ করে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় কোনো মামলা করবে না বলে জানায়।
মঙ্গলবার ভর্তি ফরমের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের ধর্মঘট ডাকে।
এর অংশ হিসেবে সকালে নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় শাটল ট্রেনে বাধা দেয়ার সময় ধর্মঘটিদের ছোড়া ঢিলে আহত হয় রেলওয়ের এক নিরাপত্তাকর্মী। তখন সাত শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ ও লিটন মিত্র আটক শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে আনতে জিআরপি থানায় যান।
সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, জিআরপি থানার ওসির মধ্যস্থতায় এ আন্দোলনে ভবিষ্যতে আর কোনো কর্মসূচি দেয়া হবে না এই মর্মে ছাত্ররা মুচলেকা দিয়েছে।
মুচলেকা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি প্রবাল মজুমদার বলেন, “আপাতত কমর্সূচি দেয়া হবে না।”
তবে বর্ধিত বেতন ফি বিরোধী আন্দোলন আর চলবে কি না জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।
ভর্তি ফরমের দাম ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করার প্রতিবাদে ‘প্রগতিশীল ছাত্রজোট’ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধর্মঘট ডাকে।