মনের দৃষ্টি দিয়ে দেশ সাজানোর পরামর্শ গৃহায়ণ মন্ত্রী’র
প্রতিবেদক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: চোখের দৃষ্টিকে বন্ধ করে, মনের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বাংলাদেশ নামক ছোট্ট বদ্বীপটা কিভাবে সুন্দর করে সাজানো যায় সে বিষয়ে স্থপতিদের উদ্দেশ্য বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম এম.পি।
৩ মার্চ (রবিবার) বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট এর ২৩তম নির্বাহী পরিষদের অভিষেক, ২২তম নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান ও বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, অামি বিশ্বাস করি নীতির রাজা যেটা, সেটাই হওয়া উচিত রাজনীতি। রাজার নীতি যা, সেটা রাজনীতি হতে পারে না। শ্রেষ্ঠ নীতি যা, সেটাই হওয়া উচিত রাজনীতি।
অামাদের সকলে মিলে কাজ করা দরকার। যে যেখানে আছি, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে, সৃজনশীলতার সঙ্গে পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে, সততার সঙ্গে অামরা কতটা অবদান রাখতে পারবো, সে জায়গাটা ধারণ করা দরকার। সেক্ষেত্রে মেধাবী মানুষরা একটু বেশী পারেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মন্ত্রী বলেন বর্তমান সরকার স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিরাম গতিতে এগিয়ে যাওয়া একজন মানুষের, দৃপ্ত প্রত্যয়ের মানুষের নেতৃত্বে চলছে। মন্ত্রী আরো বলেন দৃপ্ত প্রত্যয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করার অভিযাত্রী মানুষ শেখ হাসিনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক স্থাপত্যে সমন্বিত একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সে অাঙ্গিকে অামরা বিল্ডিং কোডসহ মূল প্রবন্ধে উপস্থাপিত প্রস্তাবগুলো যতটা সম্ভব দ্রুত পরিবর্তন করে সময়োপযোগী, যুগোপযোগী করার সক্রিয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো অামি করার চেষ্টা করবো। আমি সেটাই বলি, যেটা করা সম্ভব বা যেটা করতে পারবো। আমি না পারলে থেমে থাকবো না, ছেড়ে দিয়ে চলে অসবো।
প্রাসঙ্গিক আলোচনায় মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সেবা চায়। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অামাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে’। অনেক ভালো কাজ করা সম্ভব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ জন্য আমরা একটা যুদ্ধে নেমেছি। এ যুদ্ধের রণকৌশলে স্থপতিরা ক্যাপ্টেন হতে পারেন, সহযোগিতা করতে পারেন।
মন্ত্রী বলেন , নির্বাহী পরিষদের স্থপতিরা বলছেন বিল্ডিং ব্যবস্থাপনায়, নির্মাণে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেক অাধুনিকতা নিয়ে অাসা সম্ভব, যারা সম্পৃক্ত থাকবে, তাদের দায়বদ্ধতা থাকবে। স্থপতিেদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী অারো বলেন, ‘অামাকে সাজেশন দিন, অন্তত অামি সনাতনী প্রথার মন্ত্রীত্ব করতে চাই না, সেক্ষেত্রে অাপনাদের সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন’।
মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের সমাপনীতে বলেন, রক্ত মাংসের দেহ নশ্বর, কীর্তি অবিনশ্বর। অসাধারণ নির্মাণশৈলীর স্থপতিরা কাজের ভেতর অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন। কাজের ভেতর থেকে যাওয়া যায়। অাসুন না প্রতিযোগিতা করি কিভাবে মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকা যায়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের ২২তম পরিষদের সভাপতি এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসের। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট এর বর্তমান সভাপতি স্থপতি জালাল অাহমেদ সহ নির্বাহী পরিষদের অন্যান্য প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যবৃন্দ।