ফেস অব বাংলাদেশ ২০১৯
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (২৪ এপ্রিল, ২০১৯) : এপ্রিল শেষের পথে। এ সময় নাকি এপ্রিল ফুল বানানো হয়েছে মানসিকে। দেশসেরা চার মডেলের নাম ঘোষণার পর আকস্মিকভাবে জানানো হলো, কোরীয় বিচারকেরা ভীষণ খুশি। বাদ দেওয়া গেল না মানসি কান্তা সরকারকে। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে এশিয়া মডেল ফ্যাস্টিভ্যালে বাংলাদেশের মুখ হিসেবে যোগ দিচ্ছেন পাঁচজন। স্যান্ডালিনা প্রেজেন্টস ২০১৯ মডেল ফেস্টিভ্যালের ফেস অব বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বেছে নেওয়া হলো তাঁদের।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে ছিল ‘ফেস অব বাংলাদেশ ২০১৯’-এর গালা রাউন্ড। এক মাস দেশের নামকরা মডেলদের কাছে প্রশিক্ষণ ও হাড়ভাঙা গ্রুমিংয়ের পর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ২০ জন তরুণ-তরুণী। প্রায় ৫ হাজার তরুণ-তরুণীর মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হয় তাঁদের। গালা রাউন্ডের র্যাম্পে বিভিন্ন পোশাকে ফ্যাশন প্যারেডে অংশ নেন তাঁরা। এসব পোশাকের মধ্েয ছিল টিশার্ট-ডেনিম, বিভিন্ন ধরনের টপ, স্কার্ট, গাউন, শাড়ি। ছেলেদের পোশাকের মধ্েয পাঞ্জাবি, ব্লেজার, শেরওয়ানি, চাদর।
ফেস অব বাংলাদেশ হিসেবে রানার আপ হন মেহেদি হাসান পলাশ ও সাহেলা মজুমদার নিধি। চ্যাম্পিয়ন হন মারুফ রহমান ও শিরিন শীলা। পরে পঞ্চম বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয় মানসি কান্তা সরকারের নাম। এ ছাড়া পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে ৪শ ৪০ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হয় নাঈমা খন্দকার, সাহেলা মজুমদার নিধি, শাহরিয়ার তানভীর, শিরিন শীলা ও মারুফ রহমানকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নাগরিক টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী আবদুন নূর তুষার। তিনি বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ তার অর্জনের সীমানাকে ছাড়িয়ে যাবে। সেটা কেবল অর্থনৈতিক দিক থেকে না, সব দিক থেকে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যারা সিউল যাবেন, তাঁরা সেখানে বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে তুলে ধরবে। সব দেশের সঙ্গে নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে। আশা করি এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’