একজন সোহেল ও তার নানামুখী প্রতারণার বর্ননা
সাইফুর রহমান: রিয়েল এস্টেট খাত দেশে আবাসিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা পালন করলেও কিছু ডেভলপার কোম্পানি সময়মত ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দেয়া ও তালবাহানার কারণে অনেকেই ভুক্তভোগী হয়ে পড়ছেন এবং এ খাতের দুর্নাম ছড়িয়ে পড়ছে। স্থূল ও সূক্ষ্ম উভয়ভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে জমির মালিক ও ফ্ল্যাট ক্রেতার সাথে।
এরই ধারাবাহিকতায় এই খাতকে কাজে লাগিয়ে নানামুখী প্রতারণার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এ্যাকসুয়াল হোমস লিঃ এর চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলের নামে।
ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগীরা তার নামে থানায় একাধিক সাধারণ ডেয়েরী করেছে। অভিযোগ করেছে আবাসিক এলাকার সমিতির অফিসেও । কিন্তু কিছুতেই দমছেন না বিত্রনপি নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।
ভুক্তভোগীরা যতবারই আইনের দ্বারস্ত হয়েছে, তার সমানতালে সেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তার কর্মকান্ড।
অভিযোগকারীদের অভিযোগ আবাসিক ভবন নির্মান প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন চুক্তিপত্রের শর্ত মোতাবেক ডেভেলপার কোন একটি শর্ত সঠিকভাবে পালন করেনি।
এছাড়াও বিক্রয়কৃত ফ্লাট জালজালিয়াতির মাধ্যমে একাধিক ব্যাংক এবং হাউজ বিল্ডিংয়ের কাছ থেকে লোন নিয়ে তা গোপন করে ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেয়।ল্ল
রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী আবাসিক এলকার এফ ব্লকের তিন নাম্বার রোডের ১৮ নং ৭ তলা বাড়িটির প্রায় প্রত্যেকটি ফ্লাটেই হস্তান্তরের বিষয়ে একই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২য় তলা: যা অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে জমির মালিকের অংশ।
৩য় তলা: প্রথমে কেনু মোল্লা নামে এক লোকের নিকট বিক্রয় করেছে যা অসম্পূর্ণ অবস্থায় ২য় বার ইসলামী ব্যাংকের কাছে মর্গেজ দিয়েছে এবং ৩য় বার অহিদ নামে এক ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে। এবং অহিদ নিজের অর্থায়নে ৩য় তলার সকল কাজ সম্পূর্ণ করে ইসলামী ব্যাংকের আংশিক লোন পরিশোধ করে রেজিষ্ট্রি দিয়েছেন। ৪র্থ তলা অর্ধেক নজরুল ইসলাম মজুমদার এর নিকট বায়না চুক্তি করে (১ম বার ইসলামী ব্যাংক এর কাছে
মর্গেজ দিয়ে লোন নিয়েছে। ২য় বার বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্সের নিকট মর্গেজ দিয়ে লোন নিয়েছে)। তখন নজরুল ইসলাম মজুমদার ২০০৯ সালে চুক্তি করে ২০১১ সালে বুঝিয়ে দিতে না পারার কারণে মজুমদার নিজের অর্থায়নে ৪র্থ তলার পশ্চিম পার্শ্বের সকল কাজ সম্পূর্ণ করে বসবাস করতে থাকে৷
৫ম তলা প্রথমে ইসমাইল হোসেন, ২য় বার মহিন হোসেন, ৩য় বার ফজলুর রহমানের কাছে বিক্রয় করেছেন। যখন মহিন সাহেবের কাছ থেকে উক্ত ফ্ল্যাটটি সুকৌশলে হস্তান্তর করে তখন মহিন সাহেবকে ৮ লক্ষ টাকার ভুয়া চেক প্রদান করে, যা উক্ত চেক নিয়ে বিজ্ঞ জেলা জজ কোর্টে মামলা চলমান।
ছয়তলা ক্রেতা নিজেরা তাদের অর্থায়নে কাজ করে বসবাস করছে।
এভাবে ছয়তলা ক্রেতা নিজেরা তাদের অর্থায়নে কাজ করে বসবাস করছে।
সপ্তম তলার পূর্বপাশও অসম্পূর্ণ অবস্থায় মোঃ নজরুল ইসলাম ভূইয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে এ্যাকসুয়াল হোমস লিঃ এর চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলের কাছে তার অফিসের ঠিকানায় গেলে, তাকে এবং তার অফিসের অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি। মুঠোফোনের চেস্টাও ব্যার্থ হয়।
বিল্ডিং এ বসবাসকারী ভুক্তভোগীদের একজন নজরুল ইসলাম ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, থানায় আমাদের এত অভিযোগেও কাজ হচ্ছে না৷ উক্ত বিল্ডিং এ বসবাসরত সাবাই ডেভেলপার দ্বারা প্রতারিত। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলছি,
বিল্ডিংটির তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রকৃত অবস্থানটি জেনে প্রতারক কে আইনের আওতায় এনে ও বিল্ডিংয়ের বাকী কাজগুলো সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করতেও প্রতারকের প্রতারনার কারনে আমরা সাধারন ব্যক্তিগন যেন ন্যায্য বিচার ও ক্ষতিপূরণ পাই, সে লক্ষ্যে দয়াসহকারে দৃষ্টিপাত করতে।