চিঠি চালাচালি বন্ধ করে সরাসরি কথা বলুন
সাইফুর রহমান: পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন করতে দপ্তরে দপ্তরে চিঠি চালাচালি কমিয়ে এনে প্রকল্প পরিচালকদের সরাসরি কথা বলে সমন্বয় করার তাগিদ দেয় মৎস্য ও প্রাণীসম্পাদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এমপি।
১৩ মে (সোমবার) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে, ইলিশ-গবেষণায় খুলনা শিপইয়ার্ডের সাথে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সমঝোতাচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময়ে প্রতিমন্ত্রী এবং সচিব সকল প্রকল্পের সার্বিক খোজখবর নেন। যে সকল প্রকল্প একটু পিছিয়ে রয়েছে, সেগুলো কিভাবে নির্ধারিত সময়ে মধ্যে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে হবে সে বিষয়ে সামগ্রিক দিক-নিদের্শনা প্রদান করেন।
এমনকি প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়ে কালক্ষেপন না করে সরাসরি টেলিফোন/ সাক্ষাৎতের মাধ্যমে কর্ম সম্পাদনের পরামর্শ দেন।
একইসাথে প্রকল্প পরিচালকদের বেশী বেশী সাইট ভিজিটের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এপ্রিল ২০১৯ প্রর্যন্ত বাষিক উন্নয়ন কমসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় গুরুত্বের সাথে অলোচনা হয়, বিগত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে।
এসময়ে প্রান্তিক জনগনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পই উনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্পসারন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমানের ৮ টি বিভাগ, ৬১ টি জেলা, ৩৫৫ টি উপজেলার ৭৭ভাগ কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
একইসাথে সন্তোষ প্রকাশ করেছে, চলতি অর্থবছরের সবচেয়ে বড় প্রকল্প,জেলা মৎসজলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি। এই প্রকল্পটি সারা দেশের ৫৩ টি জেলার ২২৯ টি উপজেলায় চলমান। এর কাজগুল হচ্ছে জলাশয় পুন:খনন, অবকাঠামো/পাইপকালভার্ট নির্মান, বৃক্ষ রোপন, প্রশিক্ষণ প্রদান, লেভেলিং মেশিনক্রয়: 61 টি, মৎস্যচাষ প্রদর্শনী স্থাপন। যা ইতিমধ্যেই ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান চৌধুরী।
এর আগে ইলিশমাছের গবেষণাকার্যক্রমের জন্য একটি গবেষণা ও জরিপজাহাজ নির্মাণের লক্ষে খুলনা শিপইয়ার্ডের সাথে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (BFRI) সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মন্ডল এর সভাপতিত্বে, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীন চাঁদপুর নদীকেন্দ্রের ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের পিডি আবুল বাশার ও খুলনা শিপইয়ার্ডের এমডি আনিসুর রহমান মোল্লা সমঝোতাস্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই গবেষণা জাহাজটি ইউরোপ এবং জাপানের যন্ত্রদিয়ে তৈরী হবে। প্রায় পৌনে আটকোটি টাকাব্যয়ে নির্মিতব্য গবেষণাজাহাজটি খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড একবছরের মধ্যে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের নিকট হস্তান্তর করবে। চাঁদপুর নদীকেন্দ্রের ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে জাহাজটি নির্মিত হচ্ছে।
এদিকে এমইউ স্বাক্ষরের আগে প্রতিমন্ত্রী এবং সচিব ভালোভাবে জেনে নিয়েছে, জাহাজটি ক্যমন সার্ভিস দিবে। এর স্থায়ীত্ব এবং মান ক্যমন হবে। ওয়ারেন্টি গ্যারান্টির বিষয়টিও পাকাপোক্ত করেন খুলনা শিপইয়ার্ডের এমডি’র কাছ থেকে।
এসময়ে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমেদ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড.ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, নির্বাহীপ্রকৌশলী আলীমুজ্জামান চৌধুরী প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণা জাহাজটিতে ফিশ ফাইন্ডার, ইকো সাউন্ডার,নেভিগেশন এবং অত্যাধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা,অগ্নিনির্বাপক, ইলিশ গবেষণার ল্যাবরেটরি, নেটিংসি।স্টেম, পোর্টেবল ওপর পরিবেশের প্রভাব এবং জল্বায়ুগত প্রভাবনির্নয়, ইলিশের প্রজনন-সাফল্য,ডিমের উৎপাদন, জাটকা ও ইলিশের প্রাচুর্যতার ওপর ব্যবস্থাপনাকৌশলাদি বাস্তবায়নের প্রভাব নিরূপণ করা সম্ভব হবে।