মুখ দেখে নয় নৌকা দেখে ভোট দেবেন
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ঐক্যবদ্ধ থেকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইতে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে বুধবার ছয়টি জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, “প্রার্থী পছন্দ না হলে- তার মুখ দেখার দরকার নেই। নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে।”
তবে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে নিজের করা জরিপ মিলিয়ে প্রতিটি সংসদীয় আসনের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
গণভবনে বিকালে সিলেট মহানগর ও জেলা, খুলনা মহানগর ও জেলা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী ও পটুয়াখালী জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
আট সাংগঠনিক জেলা এবং এর অন্তর্গত উপজেলা, থানা ও প্রথম শ্রেণির পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।
প্রারম্ভিক বক্তব্যের পর তৃণমূল নেতাদের কাছে ১০টি প্রশ্ন সম্বলিত একটি ফরম দেয়া হয়। সেখানে তারা তাদের পছন্দের তিনজন প্রার্থীর নাম লিখে এবং পছন্দের তিন প্রার্থীর সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর লিখে জমা দেন।
শেখ হাসিনা এসময় বলেন, “সবাইকে তিনজন প্রার্থীর নাম লিখতে হবে। একজনের নাম লিখে জমা দিলে সে ফরম বাতিল বলে গণ্য হবে।”
“আমাদের ভেবে চিন্তে প্রার্থী দিতে হবে। তৃণমূলের মতামত নিয়ে আমরা প্রার্থী নিশ্চিত করতে চাই,” তৃণমূল নেতাদের বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জানান, এবার নির্বাচনের বেশ কিছু সময় আগেই দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
“আমরা প্রার্থীদের সঙ্গেও বসব। তারপর, মনোনয়ন দেয়া হবে। একজনকে মনোনয়ন দেব, আর একজন বিকল্প হিসাবে থাকবে।”
“কিন্তু মনোনয়ন চাইতে আসবে তো পাঁচজন। যারা মনোনয়ন পাবে না, তাদের মান ভাঙাতেও তো সময় লাগবে।”
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা রূপকল্প-২০২১ দিয়েছি। আমরা আত্মবিশ্বাস আছে- আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারব।
“আমার তো এত কষ্ট করার দরকার ছিল না। আমি বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছি। আমি চাই বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পাক।”
ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ঠেকাতে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় হতেও বলেন শেখ হাসিনা।