আইসিটি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে জাপানের ফুজিৎসু

সাইফুর রহমান, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও বিনিয়োগ আকর্ষণে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও জাপানের ফুজিৎসু রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

১৭ জুন২০১৯ (মঙ্গলবার) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠানে এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেছে ফুজিৎসু রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এফআরআই)।
হাইটেক পার্কের পক্ষে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং ফুজিৎসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পক্ষে এর প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশে আবাসিক প্রতিনিধি শিনজো কাগাওয়া সমঝোতা স্বারকে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ফুজিৎসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট সিনহা কাগাওয়া। গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি।

স্বাক্ষর পর্বের পর জাপান ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। আর তখন থেকেই জাপান বাংলাদেশের পরম বন্ধু হিসেবে রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান সবসময়ই সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে আসছে। আগামী পাঁচ বছর নাগাদ আইসিটি খাতে বাংলাদেশের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার বিলিয়ন ডলার। এই লক্ষ্য অর্জনে জাপান বাংলাদেশের সেরা বন্ধু হিসেবে থাকবে বলে আমরা আশা করি। বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার আগামী অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।

বাংলাদেশে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, সরকার দেশের বিভিন্ন জেলায় ২৮ টি হাইটেক পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করছে। বাংলাদেশের হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের জন্য জাপানকে আমরা সবসময় স্বাগত জানাই। হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারীদের কর মওকুফসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার সেগুলো করা হবে। জাপানিদের লোকবল দরকার। আমাদের প্রচুর মেধাবী তরুণ আছে। এই দু’টিকে এক সূত্রে আনতে পারলেই উভয় পক্ষ লাভবান হবে।

আইসিটি খাতে বাংলাদেশে দক্ষ জনবল তৈরি এবং বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ আনতে ফুজিৎসু রিসার্চ ইনস্টিটিউট কাজ করবে জানিয়ে এর প্রেসিডেন্ট শিনজো কাগাওয়া বলেন, এই খাতে বাংলাদেশের উন্নতি দেখে জাপান আগ্রহী হয়ে উঠছে। দুই দেশের আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরের সাথে কাজ করে আরো এগিয়ে যাবে এমন লক্ষ্যে জাপান কাজ করছে। জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো যেন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়, প্রয়োজনীয় তথ্য পায় সেজন্য জাপানের আইটি হাব হিসেবে আমরা কাজ করে যাব। এছাড়াও বাংলাদেশের জনবলকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

জাপানি রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি বলেন, জাপান ইতিমধ্যে আইসিটি খাতে বাংলাদেশের সাথে কাজ শুরু করেছে। অনেক জাপানি প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশের আইসিটি খাত নিয়ে আগ্রহী। বিশেষ করে, এখন থেকে দক্ষ মানবসম্পদ নিতে চায় তারা।

সবশেষে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের মডারেশনে এক প্যানেল আলোচনা পর্ব আয়োজিত হয়। এতে বাংলাদেশ ও জাপানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ